বহু শিক্ষার্থীর জীবনও নষ্ট করেছেন প্রতারক শাহেদ

রিজেন্ট হাসপাতালের পলাতক মালিক শাহেদ করিম প্রতারক জগতের আইডল বলে মন্তব্য করেছেন র‍্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক কর্নেল আশিক বিল্লাহ। 

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ব্রিফিংয়ে তিনি  বলেন, তার প্রতারণার ধরণ একটি অনন্য ধরণ। তবে যেকোনো সময় শাহেদকে আমরা গ্রেফতার করব।

এ পর্যন্ত শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে এবং সব মামলাই প্রতারণার- এ তথ্য জানিয়ে র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বে থাকা আশিক বিল্লাহ বলেন শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার জন্যে ভুক্তভোগী মানুষরাই এগিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, শাহেদ করিম সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক অভিযোগ আসছে তাদের কাছে। সর্বশেষ অভিযোগ এসেছে রিজেন্ট কলেজ বা রিজেন্ট ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে। অনুমোদনহীন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের তিনি জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন। ফলে শুধু শিক্ষার্থীদের জীবনই নষ্ট হয়নি, ব্যক্তিজীবনও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সাংবাদিক, রাজনীতিক, আমলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে শাহেদের ছবি থাকার বিষয়ে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, শাহেদের ছবির বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। কারও সঙ্গে কারও ছবি থাকা মানে এই নয় যে, তিনি তার পৃষ্ঠপোষক। যে কারও সঙ্গে বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মানুষ ছবি তুলতে চাইবেই। এটা খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তার মানে এই নয় যে, ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শাহেদকে একজন প্রতারক জেনেও তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন। রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যখন কারও সঙ্গে ছবি তোলেন সেটি নেহাত সৌজন্যবশত। এর পেছনে যদি কারও পৃষ্ঠপোষকতা থাকে, সেটি নিশ্চয়ই তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখবেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘প্রতারণার জগতে শাহেদ আইডল। প্রতারণাকে কিভাবে ব্যবহার করে সরল সাধারণ মানুষের সাথে ঠকবাজি করে কিভাবে একটা পর্যায় আসা যায় তার অনন্য দৃষ্টান্ত শাহেদ।’

তিনি আরো বলেন, নতুন করে অনেক অভিযোগই আমাদের কাছে আসছে, সর্বশেষ আমাদের কাছে যে অভিযোগ এসেছে রিজেন্ট কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক জাল সার্টিফিকেট দিয়েছেন শাহেদ। যাতে পালিয়ে যেতে না পারে এজন্য সারাদেশসহ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Share: