বঙ্গবন্ধু বাস্তববাদী মানুষ ছিলেন: ড.কলিমউল্লাহ 

ডেইলি প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: সোমবার সন্ধ্যায়  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৯৯তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও কুষ্টিয়া থেকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, নীলফামারীর জল ঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতিমা তুজ জোহরা ও রংপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাস্তববাদী মানুষ ছিলেন। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর বাস্তববাদী রাজনীতির প্রমাণ তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং অন্যান্য বইয়ে পাওয়া যায়। রাজনৈতিক বাস্তববাদ তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে যেমন বিশ্বখ্যাত একজন রাজনীতিবিদে পরিণত করেছে, তেমনি তাঁর জাতিকে এনে দিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক সাফল্য স্বাধীনতা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য মানসম্মত নাগরিক তৈরির কোন বিকল্প নেই।

আব্দুস সাত্তার দুলাল

মানসম্মত নাগরিক সত্য কথা বলার সাহস, নিরাপদ পরিবেশে সততার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করাসহ অন্যায় সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং আত্মকেন্দ্রিকতা মুক্ত হয়ে সম্মিলিতভাবে দেশের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সমাজে মানসম্মত নাগরিক সৃষ্টি হচ্ছে না।

 

আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তিনি অনুধাবন করতেন যে, শিক্ষকদেরকে যথাযথ মর্যাদা না দিলে জাতির মেরুদন্ড শক্তিশালী হবে না।

 

প্রশান্ত কুমার সরকার

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের সঙ্গে আমাদের সংবিধানের ১৫৩টি অনুচ্ছেদের সাজুজ্য রয়েছে। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু সমাজের অনগ্রসর ও মেহনতী শ্রমিকদের মুক্তির দূত ছিলেন।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। জাতির শিক্ষা এবং সংস্কৃতিকে আগ্রাসনের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য সদা তৎপর থাকতে হবে।

সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আমরা হাঁটছি কিনা সেটি আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কতিপয় দুর্নীতিবাজদের অসাধু তৎপরতা সরকারের ভাবমূর্তি যেমনিভাবে ক্ষুণ্ণ করছে তেমনিভাবে সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

ফাতিমা তুজ জোহরা বলেন, জিও পলিটিক্স বিবেচনায় আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা প্রভাব বিস্তারে যথেষ্ট নয় ।

মোশফিক কাজল

মোশফিক কাজল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের উস্কানিমূলক তৎপরতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঠান্ডা মাথায় পর্যবেক্ষণ করছেন। আমাদের মতো দেশবাসীও জননেত্রীর প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল।

আতাউর রহমান, শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানান।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।

Share: