বঙ্গবন্ধু জনগণের নাড়ির স্পন্দন অনুভব করতে পারতেন : ড.কলিমউল্লাহ   

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: রবিবার সন্ধ্যায়  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৯৮তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অনারারি প্রফেসর আব্দুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, সিটিজেন বাংলা ডটকম পত্রিকার সম্পাদক মোশফিক কাজল, যশোর থেকে নুর এ আলম জাহিদ,পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ থেকে মিস হ্যাপি এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিওসভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের নাড়ির স্পন্দন অনুভব করতে পারতেন। ফলে বঙ্গবন্ধু গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ সব সময় যথার্থ হতো ‌।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, আবহমানকাল ধরে এদেশের মানুষ লড়াই করে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে। মোগল, বৃটিশ ও পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে বারবার ছিনিয়ে এনেছে বিজয়। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এ অঞ্চলের মানুষ বারবার রাজনৈতিক ঘেরাটোপে বন্দি ও সংগ্রামের মাধ্যমে সে বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে। ফলে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পরিবারগুলোর আদর্শগত পরিবর্তন হয়েছে সময়ের পরিক্রমায়।

আব্দুস সাত্তার দুলাল

ক্ষমতাবানদের সঙ্গে ক্ষমতাবান পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধনের মাধ্যমে আরও একটি শক্তিশালী দুর্নীতিগ্রস্ত বলয় সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশে। এটি জাতির জন্য একটি অশনি সংকেত। বঙ্গবন্ধু কখনোই এদের সঙ্গে আপোষ করেননি।

তিনি আরো বলেন,দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জবাবদিহিতার অভাব এমন পরিস্থিতিতে দাঁড় করিয়েছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বঙ্গবন্ধুর মহান রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

 

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের সব ধরনের মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশের মানুষের চেয়ে আপন আর কিছু ছিল না তাঁর কাছে।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, নৈতিক অবক্ষয় রোধে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তিনি আরো বলেন, নৈতিক ও মূল্যবোধ এর বিকাশ ও উন্নয়নের মর্মার্থ সুস্পষ্টভাবে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।

 

মোশফিক কাজল বলেন, রাজনীতিতে মেধাবীরা পিছিয়ে যাচ্ছে এবং পেশিশক্তির সমারোহ ঘটছে। ফলে হাইব্রিডদের দৌরাত্ম্য দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। যা বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শের সঙ্গে পরিপূর্ণ সাংঘর্ষিক।

খাদেমুল ইসলাম বলেন,ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজনীতিসচেতন করাসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে।

মিস হ্যাপী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ডা.বায়েজিদা ফারজানা।

Share: