প্রেসওয়াচ রিপোর্ট: ডা. মমতাজ বেগম রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’য় বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ডাক্তার মমতাজ বেগমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে এক স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।২৯ জুন ২০২৪, শনিবার দুপুরে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণসভায় ডা. মমতাজ বেগম রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, ডাক্তার মমতাজ বেগম রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রয়াত ডাক্তার মমতাজ বেগম ছিলেন মানবতাবাদী ও মঙ্গলময়ী।
তিনি আরো বলেন, নারী শিক্ষাসহ সমন্বিত উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তারে এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হিসাবে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর কর্মজীবন নতুন প্রজন্মকে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার প্রেরণা যোগাবে।
উপাচার্য তার বক্তব্যে এই মহীয়সী ব্যক্তিত্বের জীবন, কর্ম ও স্মৃতি নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান।
অধ্যাপক ডক্টর পিসি সরকার বলেন, ডাক্তার মমতাজ বেগম কেবলই একজন মানবতাবাদী চিকিৎসকে ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং পিছিয়ে পড়া নারীদের সার্বিক উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব। এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার লিখিত ৪৩০ পৃষ্ঠা সম্বলিত ‘হিউম্যান চাইল্ড এন্ড ডেভেলপমেন্ট’ গ্রন্থটি ডাঃ মমতা বেগমের নামে উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন। তিনি আরো বলেন, স্মারক গ্রন্থে ডাক্তার মমতাজের বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে গবেষণাধর্মী আর্টিকেল প্রকাশের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম মুশফিকুর রহমান বলেন, ডাক্তার মমতাজ বেগম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারিনী। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সচেতন, ধার্মিক উচ্চশিক্ষিত মানবিক ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা তিনি। একজন নারী হয়ে তিনি বহুমুখী মহৎ কাজে নিবেদিত থেকেছেন।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান জনাব মামুন বলেন, মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের ডাক্তার মমতাজ বেগম স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের অধিকতর অধ্যবসায়ী হয়ে নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রিমিয়ার গ্রুপে চাকুরীর ক্ষেত্রে রয়েল ইউনিভার্সিটির মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দেয়া হয় বলে তিনি জানান।
জাভেদ ওমর কবির বলেন, ডাক্তার মমতাজ বেগম ছিলেন একজন সচেতন অভিভাবক, সমাজ সংস্কারক, উদার এবং মানবিক চিকিৎসক, একজন সফল শিল্প উদ্যোক্তা। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তিনি বিশ্বাস করতেন ধর্মই কর্ম। তবে ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধ ছিলেন না তিনি।
বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রধান খতিব হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনার পূর্বে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার এইচ বি এম ইকবাল এবং তার সহধর্মিনী ডাক্তার মমতাজ বেগমের মধ্যকার এক অতুলনীয় এবং অনুসরণীয় দাম্পত্য জীবন এবং বর্ণাঢ্য ও মানবিক দিক তুলে ধরেন।

ডা. মমতাজ বেগম রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র উপাচার্য বরেণ্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আলোচনায় অংশ নেন রয়েল ইউনিভার্সিটির উপদেষ্টা ও শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. পিসি সরকার, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুশফিকুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান জনাব মামুন এবং রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল সাহেবের এপিএস জাবেদ ওমর কবির। দোয়া মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মোস্তফা তালুকদার।
স্মরণসভা শেষে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রধান খতিব পিএইচডি গবেষক হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন কলা অনুষদের ড. দিপু সিদ্দিকী। আলোচনা সভায় ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন জহরত আরা, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান মুরাদ হাসান, হোটেল ম্যানেজমেন্ট এন্ড টুরিজম ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মলয় কুমার সরকার, সহকারী অধ্যাপক মোঃ ওবায়দুর রহমান,সহকারি অধ্যাপক মালবিকা মজুমদার, সহকারি অধ্যাপক মনোয়ারা মেমি, প্রভাষক রিপা সরকার, প্রভাষক আরিফুর রহমান,ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ইউকি বড়ুয়া প্রভাষক মোঃ আফনান, শিক্ষা বিভাগের কোঅর্ডিনেটর আসাদুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আমিরুল আলম খান, ফিন্যান্স ডিরেক্টর মাহমুদা বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।