প্যান্ডোরা পেপারসের চূড়ান্ত তালিকায় তিন বাংলাদেশির নাম এসেছে। মঙ্গলবার (৩ মে) ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) এ নথি প্রকাশ করেছে।
নতুন নাম আসা বাংলাদেশিরা হলেন—এস হেদায়েত উল্লাহ, এস রুমি সাইফুল্লাহ ও শাহেদা বেগম শান্তি। এর মধ্যে প্রথম দুজনের নাম উল্লাহ এস হেদায়েত ও সাইফুল্লাহ এস রুমি।
কর ফাঁকি দিতে যারা গোপনে অন্য দেশে সম্পদ বিনিয়োগ করছেন, তাদের তথ্য ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল প্যান্ডোরা পেপারস। করস্বর্গ বলে পরিচিত বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের অফশোর কোম্পানিতে প্রভাবশালীরা অর্থ ও গোপন লেনদেন করেন।
২০২১ সালের ৩ অক্টোবর প্যান্ডোরা পেপারসের প্রথম ধাপের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের তালিকা আসে। তিন ধাপে ফাঁস করা এসব ব্যক্তির তালিকায় মোট ১১ বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন।
আইসিআইজের তথ্য অনুযায়ী, এস হেদায়েত উল্লাহ ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএসের নর্দান রোডের বাসিন্দা। এস রুমি সাইফুল্লাহও ব্যবহার করেন একই ঠিকানা। শাহেদা বেগম শান্তির ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সিলেটের শাহজালাল উপশহর।
হেদায়েত উল্লাহ ও রুমি সাইফুল্লাহ বিনিয়োগ করেন হংকংয়ের ট্রান্সগ্লোবাল কনসাল্টিং (এইচকে) লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে। জাস লিমিটেড নামে একটি অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে শাহেদা বেগম শান্তির।
এর আগে গত বছর ৬ ডিসেম্বর প্যান্ডোরা পেপারসের দ্বিতীয় ধাপের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। এতে বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আটজনের নাম আসে। তারা হলেন—নিহাদ কবির, সাইদুল হুদা চৌধুরী, ইসলাম মঞ্জুরুল, মোহাম্মদ ভাই, সাকিনা মিরালী, অনিতা রানী ভৌমিক, ওয়াল্টার পোলাক ও ডেনিয়েল আর্নেস্তো আইউবাত্তি।
প্যান্ডোরা পেপারসে নাম আসলেই কেউ অবৈধ কাজে জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া যায় না। নথি ফাঁসের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকেরা এমনটিই মনে করছেন। আইসিআইজে বলছে, বর্তমান যেসব উপাত্ত প্রকাশ করা হয়েছে, তা হংকং, বেলিজ, দ্য ব্রিটিশ ভারজিন আইল্যান্ডস, পানামা, সুইজারল্যান্ড ও দুবাইয়ের সাতটি অফশোর কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে পাওয়া গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো—এসিয়াসিটি ট্রাস্ট এশিয়া লিমিটেড, সিআইএল ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল, কমেনস ওভারসিস লিমিটেড, ইলশিন, ওভারশিজ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, এসএফএম কর্পোরেট সার্ভিসেস ও ট্রাইডেন্ট ট্রাস্ট কোম্পানি লিমিটেড।