বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না: হানিফ

শাফিউল বাশারঃ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যারা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করতে পারেন, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

বুধবার (৪ মে) কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসভবনে কুষ্টিয়া পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।


মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যারা ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে যারা হত্যা করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা, এটা একটা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিছুই না।
 


হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে আদালতে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে তিনি এখন বাসায় আছেন। তিনি যদি বলেন দেশের অর্থনীতির মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে- তবে এর চেয়ে হাস্যকার কোনো উক্তি আর হতে পারে না।  

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি কারাবিধি অনুযায়ী যতটুকু সুযোগ সুবিধা পায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতায় তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা তিনি পাচ্ছেন।
 

‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নেই’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য যাদের ব্যবহার করা যায়- তাদের ওপর বিএনপির আস্থা রয়েছে, জনগণের ওপরে বিএনপির কোনো আস্থা নেই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদি এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।
Share: