তোমরা যতটা ব্যস্ত দামী পোশাকে,
তার অর্ধেকও যদি মানবতায় ঢালতে,
পৃথিবীটা হতো গোলাপের বাগান,
নির্লজ্জ কাঁটারা ফুটতে পারতো না।
তোমাদের গ্ল্যামারের চেয়ে বেশি
যদি হতো হৃদয়ের সৌন্দর্য,
সূর্যাস্তেও মিলতো রোদের উষ্ণতা,
চাঁদের আলোতেও থাকতো উত্তাপ।
যেখানে ভালোবাসার কমতি,
সেখানে কেবলই মরুভূমির ধুলো,
তোমাদের চাকচিক্যময় মহল
শুধু মরীচিকার প্রতিচ্ছবি।
ফিলিস্তিনের শিশুদের চোখে
ঝিলমিল করে না তারার আলো,
ইয়ামেনের জননী কাঁদে
অন্ধকার রাতের নীরব কান্নায়।
তোমরা যদি বৃষ্টি হতে পারতে,
ধুয়ে দিতে পারতে সব রক্ত,
ভিজিয়ে দিতে পারতে হৃদয়ের মাটি,
নতুন করে জন্ম নিতো মানবতা।
কিন্তু তোমরা রয়ে গেলে
নাটকের মঞ্চের কুশীলব,
ভণ্ডামির পোশাকে ঢাকা,
একটি যন্ত্রমানবের প্রতিচ্ছবি।
তোমাদের নামাজে নেই নত হৃদয়,
হজ্বের তাওয়াফে নেই আত্মশুদ্ধি,
দানে নেই প্রকৃত দয়া,
শুধু লোক দেখানো ধার্মিকতা।
তোমরা কি কখনো দেখেছো
একজন অনাহারীর শূন্য পাত্র?
একজন আশ্রয়হীন শিশুর দু’চোখ?
একজন নির্যাতিত নারীর স্তব্ধতা?
নকল দীপ্তি নয়, হৃদয়ের আলো দাও,
দেহের পোশাকের চেয়ে আত্মার রঙ রাঙাও,
মানবতার মশাল জ্বালিয়ে বলো—
আশরাফুল মাখলুকাত আমি
কৃত্রিমাতার ঊর্ধ্বে উঠে জানে অন্তর্যামী!