বৈষম্যের বিপ্লবী পাঠ
ডক্টর দিপু সিদ্দিকী
আমাকে প্রশ্ন করার আগে,
আমার পূর্বপুরুষের ত্যাগের গল্প শিখে নিও।
মুক্তিযুদ্ধে পিতার জীবন বাজি রাখার কাহিনি শুনে নিও।
বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান বোঝার পূর্বে,
বৈষম্য দূরীকরণে আমার জীবনের ৫৪ বছরের লড়াইকে জানো।
আমাকে অধ্যয়ন করতে শিখে এসো—
বৃত্তের বৈভব ফেলে,
সাধারণ ডাল-ভাতের অভিমান নিয়ে বেঁচে থাকার গল্প।
সুযোগের হাতছানিতে সাড়া না দেওয়ার সাহসকে অনুভবে নিও ।
দেশপ্রেম কাকে বলে, ত্যাগ কাকে বলে—
তাদের উদাহরণ আমার জীবনের পথে মেলে।
আমার জন্মভিটা, আমার শহর, আমার আঙ্গিনা,
সবই তোমাদের জানা।
আমার বিশ্বাসে যদি ত্রুটি পাও,
তাহলে প্রমাণ দাও—
আমি নির্দ্বিধায় তা মেনে নেব।
কিন্তু না বুঝে আমার বিশ্বাসকে উপেক্ষা কিংবা অবজ্ঞা করো না।
আমি ব্যক্তি-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী,
ন্যায় আর নীতিতে ভরপুর।
মানুষের পরিচয়ে পাশে দাঁড়ানোর সাহস
আমার শেষ সম্বল দিয়ে চেষ্টা করেছি।
তাই বলি,
আমার আদর্শকে প্রশ্ন করো—
কিন্তু আগে ৫৪ বছরের ইতিহাস জানো।
আমি শুধু ১৬ বছরের নয়,
স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫৪ বছরের বৈষম্যের কথাও বলেছি।
আমাদের মত ত্যাগী কবি, সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধাদের
তুমি যদি জানতে পারো,
তবেই বুঝবে ত্যাগের সর্বশেষ সীমা।
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে জানলে,
হারানোর ভয় থাকবে না।
আমরা নীরব থেকেও,
বিপ্লবে গর্জে ওঠার সাহস রাখি।
তাই বলি,
সাধু সাজো না—
সাধুকে সম্মান করতে শেখো।
জাতির ঐক্য আর মানবতার চাদরে
তৈরি হও,
তবেই বৈষম্যের অন্ধকার চিরতরে বিদায় নেবে।