প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: আবু হেনা মোস্তফা কামাল খান ১৯৫৯ সালের ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পাকমুরিলে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকার আজিমপুরে বেড়ে ওঠেন। নটরডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট সম্পন্ন করে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।
সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তিনি ফার্স্ট বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার, সাভারের ৯ পদাতিক ডিভিশনে জেনারেল স্টাফ অফিসার এবং বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) কমান্ড্যান্ট, সিলেট ডিভিশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি পিএসসি এবং এএফডব্লিউসি কোর্স সম্পন্ন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে মোজাম্বিক এবং আইভরিকোস্টে কাজ করেছেন। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ইতালি সফর করেছেন। সেনাবাহিনীতে তিনি ১৯৮০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন এবং কর্নেল পদে অবসর গ্রহণ করেন।
অবসর গ্রহণের পর তিনি রয়্যাল রোডস ইউনিভার্সিটি, কানাডা থেকে এমবিএ এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ থেকে গভর্নেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করেছেন।
২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,কুমিল্লা (বাইউস্ট)-এর রেজিস্ট্রার হিসেবে এবং ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর (বেরোবি) -এর রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালে তার হাত ধরেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২০২৪ এর প্রথম শহীদ আবু সাঈদ ।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য যে, জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনে সর্ব প্রথম মিরপুর ডিওএইচএস-এ বসবাসরত অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার ছাত্র-জনতার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন; এবং কর্নেল কামাল ও তার স্ত্রী ডা. ফারজানা ইসলাম রূপা এই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
সর্বশেষ, ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার পদে যোগদান করেন।