জাতির পিতা সবসময় মিতব্যয়ীতার কথা চিন্তা করতেন, বুঝে ব্যয় করতেন: ড. কলিমউল্লাহ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৪৩ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান।

মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহমেদ।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিস্ নাঈমা ফেরদৌস, মিসেস পারভীন আক্তার, গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সম্পাদক মোফাজ্জল খান।

সেমিনারে আরও যুক্ত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু ও শাকিব হোসেন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর একদল শিক্ষার্থী।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা সবসময় মিতব্যয়ীতার কথা চিন্তা করতেন, বুঝে ব্যয় করতেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু বলেন- ” আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে না পারি , আমি যদি বাংলার মানুষের ক্ষুধা মেটাতে না পারি তবে আমি শান্তিতে মরতে পারবো না।”

সেমিনারের মুখ্য আলোচক অধ্যক্ষ মো: মাসুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন একজন দেশ প্রেমিক লোক ছিলেন , সাহসী মানুষ ছিলেন সারাজীবন দেশকে ভালোবেসে সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে গেছেন যার জন্য স্বীকার হয়েছেন নানা নির্যাতনের।

বঙ্গবন্ধু পার্লামেন্টে বলেছিলেন- বাংলার মাটি থেকে দুর্নীতি উৎখাত করতে হবে। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ কখনো দুর্নীতি করে না। ৫% শিক্ষিত মানুষই অনিয়ম করেন। পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে সবকিছু নিয়ে গেছে শুধু রেখে গেছে দুর্নীতি।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, ব্রিটিশ পরবর্তী সময় পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাঠামো ভেঙে নতুন রাষ্ট্র গঠন ছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এখানে বিশ্বাস ছিল জাতীয়তাবাদ সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্র। যার জোরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ডানপন্থী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ করতে পেরেছিলেন তার ক্যারিশমাটিক লিডারশীপ আর বীর বাঙালির মহান আত্মত্যাগ আর দৃঢ় মনোবলের জন্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে
চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সম্পাদক মোফাজ্জল খান বলেন , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গঠনে সারা
জীবন কাজ করে গেছেন । তারই আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথি মিসেস
পারভিন আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু ত্যাগী নেতা ছিলেন । সেই ত্যাগের আদর্শ ধারণ করে আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করে সবাই সবার পাশে দাঁড়াবো।

জার্নালিস্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না জন্মালে হয়তো বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার অধ্যায় আমাদের বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিতে হলে বাংলাদেশকে মুছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন,
আজ ৯৪৩ তম পর্ব আলোচনা করছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে। এতে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে এখনো জীবিত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত
নাঈমা ফেরদৌস বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল গঠন করেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেন যেটি বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। বাঙালির সুখ দুঃখ তিনি হৃদয় দিয়ে অনুভব করতেন।

জনাব মো: শাকিব হোসেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৩ জুন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিঃস্বার্থভাবে যুব কর্মীদের জনকল্যাণে ও দেশ গঠনে নিয়োজিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।

Share: