দিপু সিদ্দিকীঃ
সামরিক আদালত বসিয়ে সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ওই সময়ে (১৯৭৫ সালের পর) একটা ক্যু হয়েছিল। প্রতিটি ক্যুতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল। তার নির্দেশে প্রহসনের বিচারের জন্য সামরিক আদালত বসানো হয়েছিল। কত মানুষ মারা গিয়েছিলেন তার প্রকৃত সংখ্যা বের করা যায়নি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন (কপ-২৬) ও ফ্রান্স সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহ হয়। ওই ঘটনায় সামরিক আদালত বসিয়ে ১১ জন অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমান সেনাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন অন্তত ৪ হাজার জন। নিখোঁজ হন অসংখ্য।
ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় আমার ফুফাতো ভাই ফিরোজ কবির চৌধুরী, যিনি ক্যামেরাম্যান ছিলেন, তাকেও হত্যা করা হয়। ওই সময় তাদের হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। জেলখানায় যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের হয়তো খোঁজ পাব। কিন্তু কত জনকে যে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছে, জানি না। তবে আমরা তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিব। স্বজনদের হারিয়ে অসহায়দের অবস্থা আমি জানি। আমিও তো আপনজন হারিয়েছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিহতের পরিবারবর্গের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারটা তো এত দিন কেউ তুলে ধরেনি। তবুও ধন্যবাদ, এত দিন পরে কথা হচ্ছে।