দিপু সিদ্দিকী/প্রেস ওয়াচঃ
পাবনার রূপপুরের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে দেশটির পরমাণু সংস্থা বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) সকালে গণভবনে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটম-এর ডিজি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাশিয়া-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয় ২০১৩ সালে এ চুক্তির মাধ্যমে। ওই সময়, পরমাণু শক্তিধর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশে একটি নিউক্লিয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট চুক্তি স্বাক্ষর করে দুদেশ। তারই আলোকে দেশটির প্রত্যক্ষ আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় রূপপুরে শুরু হয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ।
সোমবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের ডিজি অ্যালেক্সি লিখাচেভ।
এই সৌজন্য সাক্ষাতে দেশটিকে পরমাণু খাতে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী রোসাটমের মহাপরিচালককে স্থানীয় জনগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) চালাতে পারেন।
এ সময় রোসাটম প্রধান বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে তার দেশ আরও সহযোগিতা করতে চায়। রূপপুরের নির্মাণযজ্ঞ ও বাস্তবায়নের সময়সীমা সম্পর্কেও শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন অ্যালেক্সি লিখাচেভ।
অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিধর দেশে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আরএনপিপি পরিচালনার জন্য তারা বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় গণভবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবরসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।