মহামারীকালীন সময়ে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও দেশের অর্থনীতি গত ৬ মাস সঠিকপথেই পরিচালিত হয়েছে। একইসাথে এই বিরুপ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
শনিবার ‘বেসরকারিখাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত’ বিষয়ক এক ওয়েবিনারে সংগঠনটি এই পর্যালোচনা তুলে ধরে। ডিসিসিআই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন ও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার নিরলস কাজ করছে। তবে অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার ও বেসরকারিখাত যৌথভাবে কাজ করা একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, দেশের জনগনকে করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে টিকা প্রদান গ্রামীণ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কর ও শুল্কসহ অন্যান্য নীতিতে সংষ্কার ও যুগোপযোগীকরণে ক্ষেত্রে বেসরকারীখাতের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ওয়েবিনারের ডিসিসিআইয়ের পর্যালোচনা প্রবন্ধ আকারে উপস্থাপন করে সংগঠনের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, কোভিড মহামারীর নানাবিধ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্বেও দেশের অর্থনীতি গত ৬ মাসে মোটামুটি সঠিক পথেই পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০২৬ ও ২০৪১ সালের প্রাক্কলিত লক্ষমাত্রা অর্জনে সরকার ও বেসারকারীখাতকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাতা চলমান রাখার লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শুল্ক ও ভ্যাট ব্যবস্থায় সংষ্কার ও যুগোপযোগীকরণ, স্থানীয় বেকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের উন্নতি, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে এডিআর ব্যবস্থার ব্যবহার বৃদ্ধি, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ সুযোগ তৈরি, ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা সহায়তা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বোপরি কোভিড মহামারী ও এলডিসি উত্তর সময়ে জন্য সহায়ক ও সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন খুবই জরুরী বলে উল্লেখ করেন।
রিজওয়ান রাহমান তার প্রবন্ধে অর্থনীতিতে কোভিডের প্রভাব, এলডিসি উত্তর সময়ে দেশের অর্থনীতির পর্যালোচনা, মুদ্রানীতি, মাইক্রো অর্থনীতি, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং সার্ভিস খাত প্রভৃতির উপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন।সূত্র : বাসস। প্রেসওয়াচ: জা.মা।