দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় অবৈধ বাণিজ্য দমন এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেটিভ সোসাইটি (ডাব্লিউসিএস) বাংলাদেশ। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল সেরিনায় এক কর্মশালায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় ৩০টি গণমাধ্যমের কর্মীরা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
এতে বক্তারা বলেন, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্যের তথ্য-উপাত্ত বিস্তারিত গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পারলে অবৈধ বাণিজ্যের ধরণ ও গতিধারা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে। এতে সরকারি কর্তৃপক্ষও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য বন্ধে উৎসাহী হবে। ফলে বিশ্বব্যাপী বিপদাপন্ন অনেক বন্যপ্রাণী যেমন: বাঘ, বনরুই, কচ্ছপ, হাঙ্গর, শাপলাপাতার বেশ কিছু প্রজাতিকে চিরতরে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসাইন তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের সবার একাত্ম হয়ে কাজ করতে হবে। সাংবাদিক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদসহ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। বন্যপ্রাণী আমাদের সম্পদ। আমরা যদি দ্রুতই কোনও পদক্ষেপ না নিই, তাহলে তাদের আমরা একসময় হারিয়ে ফেলবো।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং বাংলাদেশ বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা, গ্রেফতার এবং বিচারকাজ সম্পন্ন করতে দেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন অধিদফতর ও ডাব্লিউসিএস সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশে কার্যকরী প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিয়মিতভাবে পরিচালনা করছে। বন্যপ্রাণীর ব্যবসার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা ও জনমত তৈরির মাধ্যমে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিস্তারিত প্রতিবেদন তুলে ধরে গণমাধ্যমকর্মীরাও এই প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
কর্মশালায় ‘বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অন্তর্ভুক্ত বন্যপ্রাণী, এদের দেহাংশ ও পণ্যের প্রজাতি শনাক্তকরণ গাইড’ এর দ্বিতীয় সংস্ককরণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।