শনিবার (১০ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ গাজীপুর শাখার বর্ধিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হন।
তিনি বলেন, ‘ইদানীং ধর্ষণ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর হলেও কোথাও কোথাও কিছু দুষ্কৃতকারী অপকর্ম করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভায় কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন সংশোধনের প্রস্তাব আসছে।’
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিএনপি সহিংস করার অপচেষ্টা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার সজাগ রয়েছে। যারা ষড়যন্ত্রকারী, গুজব রটনাকারী তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আন্দোলনের নামে কোনও ধরনের অস্থিরতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির অপপ্রয়াস জনস্বার্থে সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের অপরাধী-সন্ত্রাসী এবং মাদকসেবীদের দলে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের কমিটি গঠনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কেউ যেন কমিটিতে ঠাঁই না পায়। খারাপ লোকদের দিয়ে দল ভারী করা যাবে না। খারাপ লোকেরা উন্নয়ন ও অর্জনকে ম্লান করে দেবে। তাই এসব বিষয়ে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ভর করে স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক গোষ্ঠী যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখারও আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার শুধু ধর্ষণ আর নারীর প্রতি সহিংসতাই নয়, যে কোনও অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন, প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আনা হয়েছে বিচারের আওতায়। শেখ হাসিনা সরকার অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয় না। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম রুখতে যে শুদ্ধি অভিযান সরকার পরিচালনা করছে তা কারও দাবির প্রেক্ষিতে নয়, স্বপ্রণোদিত হয়েই করছে। দলীয় পরিচয়ও শেখ হাসিনার কাছে কোনও অপরাধীর রক্ষাকবচ হতে পারেনি এ পর্যন্ত। তাই তো এদেশের নারীদের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন।’