সিনহা নিহতের বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, দোষীদের শাস্তি পেতে হবে: সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ নিহতের ঘটনায় দুই বাহিনীর মধ্যে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‌’এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর জন্য কোনও প্রতিষ্ঠান দায়ী নয়। এ ঘটনা নিয়ে দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সেনা ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যেন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তদন্ত কমিটি যাদের দোষী সাব্যস্ত করবে, অবশ্যই তাদের শাস্তি পেতে হবে।’

বুধবার (৫ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আগে সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ বলেন, ‘টেকনাফে যে ঘটনাটি ঘটেছে তার কারণে দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের কোনও ব্যত্যয় ঘটবে না। বরং আমাদের লক্ষ্য হবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত যৌথ তদন্ত কমিটি যেন প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করতে পারে। তারা তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দেবেন, সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং সেটাই গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ঘটনাটিকে নিয়ে অনেকেই উস্কানিমূলক কথা বলছে। এসব বলে তারা সফল হতে পারবেন না। কারণ সেনা ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক রয়েছে। যারা বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে দুই বাহিনীর মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন, তারা কখনও সফল হবেন না।

এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে বিমানবন্দর হয়ে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্ট হাউস জলতরঙ্গে এসে পৌঁছান তারা। এসময় সেনা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।

Share: