তারা বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ ও মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারর হুমকির মুখে আছেন। একমাত্র সুষ্ঠু পরিবেশ ও প্রকৃতিই এ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এ আহবান ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ : বৃক্ষরোপণে বিশুদ্ধ হোক পরিবেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। কমিটির সভাপতি ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে এতে জুমের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ড. অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, আওয়ামী লীগের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সবুজায়নের ডাক পৃথিবীব্যাপী সাড়া ফেলেছে। দেশে যেমন তার দৃঢ় ও সুযোগ্য নেতৃত্বে পরিবেশ রক্ষার জন্য কাজ হচ্ছে, তেমনি বিশ্বও তা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তার এসব উদ্যোগ বিশ্বে স্বীকৃতিও পেয়েছে। এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো পরিবেশ রক্ষায় অবদানের কারণে তার একাধিক পুরস্কার লাভ।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সব উপাদান বাংলাদেশে দৃশ্যমান। পরিবেশ রক্ষায় ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কারে তিনি মনোনীত হয়েছেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর পর ১৯৮৩ সালে দুই বছরব্যাপী তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছেন বলে উল্লেখ করেন ড. হাছান।
তিনি আরও বলেন, সে সময়ে তার যে স্লোগান ছিল সেটি এখনো আছে। সেটি হচ্ছে একটি করে ভেষজ, বনজ এবং ঔষধি গাছ লাগান। ৩০-৪০ বছর আগে বনে প্রচুর গাছ ছিল। কিন্তু এখন আপনারা দেখবেন বসতি এলাকায় প্রচুর গাছ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার সামাজিক বনায়নের ডাকের কারণে। বৃক্ষরোপনকে তিনি একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করেছেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রকৃতির অবস্থা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক এ সম্পাদক বলেন, এখনকার যে প্রকৃতি সে প্রকৃতি অনেক নির্মোহ-নির্মল। কারণ এই সময়ে প্রকৃতি তার নিজস্বতায় বিকশিত হতে পারছে। এটি প্রমাণ করে আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় প্রকৃতির উপর একরকম অত্যাচার করি।
ফারুক খান বলেন, শুধু গাছ লাগালে চলবেনা, গাছ রক্ষা করতে হবে। কোভিড-১৯ এর সময়ে প্রমাণিত হয়েছে পরিবেশের সবথেকে বড় ক্ষতি করি আমরা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক লক্ষ্য স্পষ্ট। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা পরিবেশ রক্ষায় যা করার করছি এবং যা প্রয়োজন তা করব। আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তাদের কাছ থেকে আমাদের আরো বেশি বেশি করে অভিজ্ঞতা নিতে হবে। আমি তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানাবো। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরিবেশ নিয়ে যে কাজ করেছি, সে কার্যক্রমগুলো বেশি করে তুলে ধরতে হবে। যেন বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষায় একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপকূল রক্ষায় বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সবুজায়নের ডাক, পৃথিবীর জন্য উদাহরণ : আওয়ামী লীগের ওয়েবিনারে বক্তারা

: আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবুজায়নের ডাক দিয়ে পরিবেশ রক্ষার যে কাজ করে যাচ্ছেন তা পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ।
« অনলাইন নিউজপোর্টাল নিবন্ধন শুরু হচ্ছে-তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (Previous News)
(Next News) বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতোনা আর শেখ হাসিনা না হলে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখা যেতোনা : চিফ হুইপ »
Related News

৩টি বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
আইরিন নাহার: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ একাদশ জাতীয় সংসদ (জেএস)-এর একাদশ এবং ২০২১ সালের প্রথম অধিবেশনেRead More

এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করতে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৬ প্রস্তাব
দিপু সিদ্দিকীঃ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবজাতি বিপন্ন হতে পারে নীরবে বিকশিত এমন জীবাণুনাশক ওষুধ অকার্যকরRead More