‘জীবন ও জীবিকা ফর্মূলা’


তানিয়া সুলতানা হ্যাপি
সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

প্রিয় আপা,
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে আমরা একটি সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছি। আজ করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় মানব জীবন কঠিন সংগ্রাম মোকাবেলা করতে হচ্ছে। কোথাও আজ স্বস্তি নেই। সুস্থ্যভাবে পরিবার, প্রিয়জন নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টায় সবাই যারপরনাই যুদ্ধ করছে। তবুও আপা, এই করোনাকালে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকি আপনার সুরক্ষা নিয়ে, আপনার সুস্থ্যতা নিয়ে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে এই বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালে আপনি কেমন আছেন? আপা, আপনার কাছে গেলে আবেগে উদ্ভাসিত হয়ে পড়ি। তাই নিজের প্রয়োজনের কথা, অভাব, অনুযোগের কথা বলতে গিয়ে খনো বলতে পারিনি আপনাকে কতোটা ভালবাসি।

পত্রিকায় পাতা খুললেই চোখে পড়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একাই লড়ছেন আপনি (শেখ হাসিনা) আপা, সারাদেশ সারাক্ষণ মনিটরিং করছেন একাই। আপনার চারিপাশে এতো মানুষ, তবুও সংকটকালে সতীর্থের বড়ো অভাব! এমন পরিস্থিতি জাতির পিতার সময়ে ও ছিল। এই খবরটা পড়লেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে! চোখের কোণে জল ছলছল করে। কখনো কখনো কেঁদে উঠি। যেকোন পরিস্থিতিতেই আপনি অনেক দৃঢ়চেতা, অটল, অনল, অবিনাশী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকতে পারেন তাই হয়তো আপনি ভেঙ্গে পড়েন না। সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের অত্যন্ত সাহসিকতা আর সফলতার সাথে মোকাবেলা করেছেন। এই বিশ্বগ্রাসী করোনাভাইরাসের মধ্যে আবার সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ এর জন্য ত্ব্ররিৎ ২৪ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসে খাবার দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি একেবারেই নূন্যতম পর্যায়ে রেখেছেন তা “দ্যা গার্ডিয়ান” সহ বিশ্ব মিডিয়ায় আপনার নেতৃত্বের প্রশংসায় স্থান পেয়েছে। করোনাভাইরাস ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন আপনার প্রিয় জনগণকে।

গত কয়েকদিনে দলের নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী বিশেষ করে আপনাকে কাছে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রাণহানিতে আপনাকে খুবই মর্মাহত হতে দেখেছি। আপা এই পরিস্থিতিতে আপনাকে আরো শক্ত হতে হবে, বাংলার জনগনের জন্যে। বাংলার ১৭ কোটি জনগন উপরে আল্লাহ নিচে (শেখ হাসিনা) আপনার সাহায্যের অপেক্ষায় দিনাতিপাত করছে। বাংলার জনগনের জন্যে আপনিই নির্ভরতার প্রতীক। আপনি আশার বাতিঘর। বৈশ্বিক মহামারী করোনা কালীন সময়ে ও আপনাকে ঘিরেই আমরা আজো আশায় আলো দেখতে পাই।

বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ পৃথিবীর সকল দেশকেই আক্রান্ত করেছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে, বিশ্বের বাঘা বাঘা নেতারা যখন করোনার ভয়াল থাবায় দিশেহারা, তখন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব চলছে আপনার নির্দেশিত “জীবন ও জীবিকা” ফর্মূলায়। সংকটকালীন সময়ে এরকম দুঃসাহসিক দৃঢ়তা দেখানো তো শুধু আপনার পক্ষেই দেখানো সম্ভব,আপা।

যেমনটা আপনি ১৯৭৫ সালের ১৫ -ই আগষ্টের বাবা-মা -ভাইসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েও দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ -ই মে আলো হাতের আঁধারের কান্ডারী হয়ে আপনি এসেছিলেন বাংলার মানুষের আলোর দিশারী হয়ে। আর আজ আপনি বাংলার মানুষের নির্ভরতা দিয়ে আশার আলো ছড়াচ্ছেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে…

তাই আজ শুধু বাংলার মানুষ নয়, বিশ্ব মিডিয়া, বিশ্বের সচেতন গোষ্ঠী, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ মনে করেন খুবই প্রয়োজন আপনার বেঁচে থাকা। খুবই প্রয়োজন আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষা। খুবই প্রয়োজন আপনার সুস্থ থাকা। আপা, আপনি সুস্থ থাকলেই, পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠবে। কথাটা শুধু কথা নয়, আমার বিশ্বাস।

ইতি আপনার নির্ভীক কর্মী
তানিয়া সুলতানা হ্যাপি
সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।

Share: