১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, আইরিন নাহার/ নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) দীর্ঘদিন ধরে দেশের গাড়ি আমদানিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং চারবারের নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল হকের নেতৃত্বে এটি স্বচ্ছতা ও ন্যায়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিচিত। তবে, বর্তমান নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার পেছনে একটি কুচক্রী মহলের অপতৎপরতা ও আদালতে অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে আইনি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে অপ তৎপরতা চালাচ্ছে। কতিপয় কুচক্রীর এই অপরপ্রতায় সংগঠনের সাধারণ সদস্যদের মধ্যে মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে।
সংক্ষুব্ধ নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগেও একই ব্যক্তি একই পন্থায় নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে আদালতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। এবারও তাই করছে। ওই চিহ্নিত ব্যক্তি একবার আদালতে রিট করে কাঙ্খিত ফল না পেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের দারস্ত হয়। মন্ত্রণালয়ে তাদের ইচ্ছানুযায়ী অবৈধ সুবিধা আদায়ের ব্যর্থ হয়ে আবারো আদালতের শরণাপন্ন হয়। গণস্বাক্ষর অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা জানান,এরা সংগঠনের চিহ্নিত শত্রু। প্রতিবার নির্বাচন এর সময় এলেই এই চিহ্নিত গোষ্ঠী অন্যায় এবং অবৈধভাবে প্রশাসক বসানোর পরিবেশ তৈরি চেষ্টা করে। এবারও একই কায়দায় মিথ্যা ওজুহাত তৈরি করে নির্বাচন বানচালের জন্য তারা প্রশাসক বসানোর অপতৎপরতায় লিপ্ত।

আজ শুক্রবার দুপুরে নয়া পল্টনে
নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান পরিচালিত হয়। এতে সংগঠনের সিংহভাগ সদস্য উপস্থিত হয়ে গণস্বাক্ষর অভিযানে অংশগ্রহণ করেন এবং নির্ধারিত সময়ে সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তোলেন। কোন মিথ্যা অজুহাত তৈরি করে আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার নিন্দা করেন।
নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা
কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আদালতে রিট করে এবং আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। সংগঠনের নেতারা বলেন, চিহ্নিত কুচক্রী মহল আদালতের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করতে চায় ।এবং তারা একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি তুলেছে। তবে, সংগঠনের সদস্যদের সিংহভাগ এই পদক্ষেপকে অযৌক্তিক এবং স্বৈরাচারী হস্তক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সংগঠনের দাবি
বারভিডার সদস্যরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তারা যথাসময়ে নির্বাচন চান। এরই মধ্যে গণস্বাক্ষর অভিযানে সিংহভাগ সদস্য তাদের উপস্থিতি ও সমর্থন জানিয়েছেন। সদস্যদের অভিযোগ, আদালতের ভুল তথ্য প্রদান করে একটি চিহ্নিত মহল নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
গণমাধ্যমে অপপ্রচার
সংগঠনের নেতারা উল্লেখ করেছেন, একটি মহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করছে এবং সংগঠনের নেতাদের নামে মিথ্যাচার ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে শুধুমাত্র বারভিডার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমই নয়, পুরো রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির গুরুত্ব
বাংলাদেশের মতো দেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির পেছনে অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত যৌক্তিকতা রয়েছে। এগুলো তুলনামূলকভাবে কম খরচে আমদানি করা সম্ভব হয়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে। জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি গুণমান এবং পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত।
তবে, কিছু মহল এই শিল্পকে দুর্বল করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশে এখনো গাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশের চেইন গড়ে ওঠেনি। ফলে গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রেই দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব।
নির্বাচন বিলম্বিত হলে ক্ষতির আশঙ্কা
যদি যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয়, তবে বারভিডার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। এতে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বারভিডার নির্বাচনে সিংহভাগ সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে চান এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পন্ন করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, আদালত, সরকার এবং গণমাধ্যমের কাছে সংগঠনের সদস্যরা আবেদন জানিয়েছেন যে, তারা যেন সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করেন এবং যথাযথ পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করেন।
বারবিডার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল হক বলেন,বারভিডা একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এর সুষ্ঠু কার্যক্রম অব্যাহত রাখা দেশীয় অর্থনীতির স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরি। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া কেবল সকল সদস্যের সম্মিলিত দায়িত্ব নয় অর্থনীতির গতিপ্রবাহ ধরে রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্টদেরও দায়িত্ব রয়েছে। জনাব হক মিথ্যা রটনা সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান । তিনি গণমাধ্যমকে নৈতিক অবস্থানে থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।