স্পর্শ অনেক রূপে বিদ্যমান। ইতিবাচক স্পর্শ মানবদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু করে, যার ফলে হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোনগুলি মনকে ইতিবাচক কর্মের দিকে উদ্দীপিত করে। মানুষ যখন একে অপরকে স্পর্শ করে, তখন তা আন্তরিকতা প্রকাশ করে। একইভাবে, একটি ফুল স্পর্শ করা শরীর এবং মন উভয়ের জন্য উদ্দীপক হিসাবে কাজ করতে পারে, স্নেহ এবং ভালবাসা সহ নিছক যৌনতার বাইরে আবেগকেও উদ্দীপিত করে।
মেরিন নাজনীন স্পর্শের মনস্তাত্ত্বিক, শারীরিক এবং মানসিক প্রভাব তুলে ধরে এই বিষয়টিকে উপস্থাপন করেছেন নন্দন শিল্পে। আলোচনাটি উপস্থাপনের কলা কৌশলে জীবন্ত রূপ পেয়েছে। ‘বর্ডারলেস বাউন্ডারি’ চ্যানেলে জাঁ নেসার ওসমানের উত্সাহ এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায়, এই আলোচনাটি শুধুমাত্র আনন্দদায়ক নয়, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উদ্দীপক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি প্রথমবারের মতো একটি নতুন আলোতে স্পর্শের বিষয়টি উপস্থাপন করে, নতুন গবেষকদের জন্য চিন্তা-উদ্দীপক অন্তর্দৃষ্টির দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমি মনে করি। দেশের ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্পর্শ’ নিয়ে একটি স্পর্শকাতর আলোচনা দৃষ্টিগোচিরভূত হয়নি। ফলে দর্শক শ্রোতাদের কৌতুহল নিবৃত্ত করবে বলা যায় নিঃসন্দেহে।
আমি বিশ্বাস করি যে এই আলোচনা স্পর্শ সম্পর্কে একটি ইতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।
লেখক: ড. দিপু সিদ্দিকী, কবি, শিল্প সমালোচক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।