খাদ্যসংকটে পড়তে পারে এশিয়া

এশিয়ার বেশির ভাগ দেশের প্রধান খাদ্য নির্ভর করে ধান উৎপাদনের ওপর। কিন্তু যে হারে এ অঞ্চলে সারের দাম বাড়ছে, তাতে সৃষ্টি হতে পারে ভয়াবহ খাদ্যসংকট–এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধান রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ড। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশটির কৃষকরা কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদন। এদিকে ফিলিপাইনে চাল উৎপাদন কম হওয়ায় দেশটি বিদেশি আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। ভারতে চলছে বিরূপ আবহাওয়া, বাংলাদেশে বন্যা ও চীনের কীটের প্রাদুর্ভাব। এতে সমগ্র এশিয়ার ধান উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

সমগ্র এশিয়ার খাদ্যনিরাপত্তার সিংহভাগ টিকে আছে ধানের ফলনের ওপর। এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে গম ও ভুট্টা সরবরাহে দেখা দিয়েছে সংকট। এশিয়ার দেশগুলো যখন পুরোপুরি ধানের দিকে ঝুঁকছে, তখনই দেখা দিল এমন উৎপাদনহীনতা। এ ছাড়াও উৎপাদন কম হওয়া ও মূল্যস্ফীতির যাচ্ছেতাই অবস্থায় বেড়ে গেছে ধানের দাম। বৈশ্বিক বাজার বিবেচনা করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে প্রতি টন ধানের দাম ছিল ১ হাজার ডলার, যা বর্তমানে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়েছে এশীয় দেশগুলোর আবাদি জমির ওপর। এতে ধান, গম ও ভুট্টা উৎপাদনে বড় রকমের ভাটার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু দেশের উদ্ভট জাতীয়তাবাদী আচরণে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাত মোকাবিলায় ভারত বলেছিল তারা বিশ্বকে খাদ্যের জোগান দেবে। কিন্তু খোদ ভারতই কদিন বাদে গম রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ও মালয়েশিয়ার মুরগি রফতানি সীমাবদ্ধকরণের সিদ্ধান্তে এশীয় দেশগুলো তথা সমগ্র বিশ্বে একধরনের অস্থিরতার সৃষ্টি করেছে।
Share: