হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে গ্রেফতার করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৬ মে) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মানিক পি কে হালদারের গ্রেফতারের বিষয়টি বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনলে আদালত এ মন্তব্য করেন।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতার করেছে ভারতের অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার (১৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (১৫ মে) বারাসাতের আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে তাদের ১৭ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অর্থ পাচারে জড়িত বাংলাদেশের একাধিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন তিনি। এ সময় প্রশাসন ১০টি বিলাসবহুল বাড়ি সিলগালা ও বিপুল সম্পদের দলিল ও নথিপত্র উদ্ধার করেছে।
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এ অর্থ পাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি মামলা করেছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজপত্র পাওয়ার পর আইনগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। তিনি যেখানে আছেন, সেখানে কী করেছেন- সেখানকার আইনের মুখোমুখি তিনি হবেন। আমরাও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ফেরত চাইব আমাদের মামলাগুলোর জন্য।