ডেস্ক রিপোর্টঃ টায়ারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তৎপর দেশীয় উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো হালকা মোটরযানের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টায়ারের চাহিদা। ফলে টায়ার শিল্পের আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এক জরিপে দেখা গেছে, সারা বাংলাদেশে রিকশা, অটো রিকশা এবং তিন চাকার যান্ত্রিক বাহনের পরিমাণ অর্ধ কোটি। এসব বাহনের জন্য বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখের বেশি টায়ার প্রয়োজন পরে। যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারত, চীন, জাপান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি বছর এর পেছনে ব্যয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তবে আমদানি নির্ভর এই বাণিজ্যে ইতিমধ্যেই ভাগ বসিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও। এতে করে অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে আন্তর্জাতিক মানের ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ টায়ার কেনার সুযোগ পাচ্ছেন দেশের মানুষ। মেঘনা টায়ার, রূপাসা টায়ার, অ্যাপেক্স হুসেন টায়ার এবং গাজী টায়ার বর্তমানে টায়ারের চাহিদা বহুলাংশে পূরণ করে আসছে। আর বাকিটা আমদানি করে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশীয় টায়ার উৎপাদন কারি প্রতিষ্ঠান রূপসা টায়ার এর বিপণন ব্যাবস্থাপক জনাব দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন ‘স্থানীয় উৎপাদন উৎসাহিত করতে সরকারের আরো এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এ শিল্পে সরকার যদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে আমরা আরো বেশি এগিয়ে যেতে পারবো। আমাদের এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে কয়েকগুণ বেশি সেই সাথে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে টায়ার রপ্তানি করাও সম্ভব। সেজন্য সরকার এবারের বাজেটে টায়ার শিল্প বান্ধব কয়েকটি পদক্ষেপ নেবে এ প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি এবারের বাজেটেই ব্যবহারযোগ্য টায়ারের আমদানি শুল্ক আরো বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা উচিত। টায়ার শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশি কোম্পানিগুলো দেশের চাহিদার থেকেও বেশি টায়ার উৎপাদন করতে প্রস্তুত এবং তাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। এখন শুধু প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা, নীতিগত সহায়তা, টায়ার শিল্প বান্ধব নীতি এবং কাচামাল আমদানিতে শুল্ক করের ছাড়। যা পরবর্তীতে টায়ার শিল্প কে এগিয়ে নেবে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বলিষ্ঠ ভাবে। যা পরবর্তীতে টায়ার শিল্প কে এগিয়ে নেবে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বলিষ্ঠ ভাবে। যা এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে এবং কর্মসংস্থান তৈরী করবে।