দিপু সিদ্দিকীঃ
অন্যদিনের মতো অফিস যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন বেসরকারি চাকরিজীবী রুস্তম খান। ঢাকার বাদশাহ মিয়া রোডে অপেক্ষা করছিলেন অফিসের গাড়ির জন্য। হঠাৎ একটি গাড়ি এসে থামে সামনে। রাইড শেয়ারিংয়ের কথা বলে তাকে তোলা হয় গাড়িতে। এরপর চোখ বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন।
পরে অস্ত্রের মুখে আদায় করা হয় মোটা অংকের মুক্তিপণ। টার্গেট অফিসগামী ও ফেরা যাত্রীরা। ঢাকা ও নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, রাইড সেবার নামে অপহরণের পর লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতো চক্রটি।
রুস্তম জানায়, তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে অপহরণকারীরা ফোন করে স্ত্রীকে। দাবি করা হয় মুক্তিপণ। স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে স্ত্রী। এরপরও মেলেনি মুক্তি। দ্বিতীয় দফায় চাওয়া হয় আরও টাকা।
ঢাকার অলিগলিতে রাইড শেয়ারের নাম করে ফাঁদ পেতে বসে আছে একাধিক অপহরণকারী চক্র। তাদের টার্গেট অফিসগামী এবং কর্মস্থলে ফেরা মানুষ।
সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা এবং নরসিংদী থেকে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঈদকে কেন্দ্র করে আরো অপহরণ করার পরিকল্পনার কথা পুলিশকে জানিয়েছে তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, রাইড শেয়ারে উঠানোর নাম করে তার কাছে যা আছে ,সেটা তো নেবেই। আবার অপরহরণ করেও মুক্তিপণ দাবি করে।
রাইড শেয়ার নেওয়ার আগে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।