প্রেসওয়াচ ডেস্ক ঃ
ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় ফলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যে কোনো মানুষের উচ্চতার সঙ্গে মানানসই ওজন সুস্বাস্থ্যের পরিচয় বহন করে। আপনি কতটা খাচ্ছেন এবং কতটা আপনার দেহে বাড়তি মেদ হয়ে জমছে এ দুটি মাপকাঠিই ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য প্রয়োজনীয় মাপকাঠি হলো শরীরচর্চা।
তবে বছরের পর বছর ধরে ওজন হ্রাস নিয়ে বহু ভুল ধারণা ছড়িয়ে আছে জনমনে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কম খেলে নাকি ওজন কম থাকে, এই ধারায় যোগ হয়েছে নতুন নাম ‘ক্র্যাশ ডায়েটসহ আরও একগুচ্ছ নাম। এর মধ্যে একাধিক নিয়মে দাবি করা হয় যে দ্রুত ও দীর্ঘস্থায়ী উপায়ে ওজন কমবে। কিন্তু আসল কথা হল ডায়েটিং মানে কম খাওয়ার পরিবর্তে সুষম ও পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়া।
ক্র্যাশ ডায়েটিংয়ের আর এক নাম ‘ইয়ো ইয়ো ডায়েটিং’। ক্যালরি-নিয়ন্ত্রিত এ ডায়েটে ওজন হয়তো দ্রুতই কমে কিন্তু তা স্থায়ী হয় অল্প সময়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত হৃত ওজন আবার ফিরে আসে, ক্র্যাশ ডায়েট মেটাবলিজমের জন্য খারাপ। এর ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতিও তৈরি হয়।
ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ক্লান্ত হয়ে পড়া, কর্মক্ষমতা কমে যায়, মেজাজ হারিয়ে খিটখিটেও হয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে যখন তখন খিদে পেয়ে যায়। তখন আবার নিয়ম ভুলে খাওয়া হয়ে যায় তখন ডায়েটিংয়ের সব উদ্দেশ্যই পণ্ড হয়ে যায়।
এককথায় বলতে গেলে, ক্র্যাশ ডায়েটিং আদতে উপোসের নামান্তর। এর ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে বিঘ্নিত হয় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এর ফলে সবসময় বমি বমি লাগতে পারে, মনে হয় সব ক্লান্তি যেন কেউ শুষে নিয়েছে।
তাই ক্র্যাশ ডায়েটের বদলে সুষম খাবার সঠিক পরিমাণে খাওয়া দরকার সঙ্গে থাকুক শরীরচর্চা। তাহলে সুস্থ থাকবেন আবার বাড়তি মেদও ঝরে যাবে।