নারী বাসা মালিকের সহায়তায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণ

গাজীপুরে এক নারী বাসা মালিকের সহায়তায় এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর মহানগরের পুবাইল থানার মাজুখান এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর দায়ের করা মামলায় রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর মামলার খবর শুনে বাসা মালিক মাদক ব্যবসায়ী নারী পলাতক রয়েছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি’র) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত ধর্ষকরা হচ্ছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার হেমায়েত নগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে শাহ আলম (৩৭) এবং টঙ্গী পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার শান্ত ললিতকলা একাডেমির মালিক ও নাচ-গানের প্রশিক্ষক আবু হানিফ (৪৬)। এ ঘটনায় আরও দুই ধর্ষক এবং বাড়িওয়ালা নারীকে খুঁজছে পুলিশ।

পূবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, মাজুখান এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী এক নারীর বাসায় ভাড়া থেকে একটি টেইলার্সের দোকানে কাজ করতো এক কিশোরী। মেয়েটির গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাসার মালিক নারী দুর্বৃত্তদের জঘন্য ইচ্ছা বাস্তবায়নে সহায়তা হিসেবে কৌশলে কিশোরীকে তার বাড়ির একটি কক্ষে ডেকে নেয়। ঘরে আগে থেকে আবু হানিফ এবং শাহ আলম নামে দু’ব্যক্তি অবস্থান করছিল। কিশোরী সে ঘরে ঢুকতেই ওই মাদক ব্যবসায়ী নারী বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয়। এসময় ওই দু’ব্যক্তি কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে আকস্মিক কিশোরীর হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলে। এরপর নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে তারা ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে হানিফ ও শাহ আলম ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাইরে অবস্থানরত আরও দু’জন ঘরে ঢোকে। পরে তারাও ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি’র) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া জানান, শনিবার ওই কিশোরী বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছে। এর পর রবিবার দুইজনকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রবিবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

Share: