ঢাকা ১৬ আগস্ট, ডেইলি প্রেসওয়াচঃ টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ১১,৭০,০০,০০০/- (এগার কোটি সত্তর লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৩,৯০,০০০ (তিন লক্ষ নব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক, লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান, পিএসসি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখ রাতে টেকনাফ উপজেলাধীন দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার আওতাধীন জাদিমোড়া ওমর খাল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার হতে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র বিশেষ টহলদল উল্লেখিত স্থানে গোপনে অবস্থান গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আনুমানিক ১৯৪৫ ঘটিকায় ০৩/০৪ জন ইয়াবা কারবারীকে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিয়ানমারের লালদ্বীপ হতে ওমরখাল বরাবর বাংলাদেশের স্থল সীমানায় উঠতে দেখে টহলদল দ্রুত তাদের দিকে এগিয়ে যায় এবং চ্যালেঞ্জ করে। চোরাকারবারীরা দূর হতে টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করে তাদের সাথে থাকা ০৫ টি বস্তা ফেলে খালের ওপর পার্শ্বে দিয়ে কেওড়া জঙ্গলের আঁড় ব্যবহার করে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে কেওড়া জঙ্গলের ভিতর দিয়ে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে ইয়াবা কারবারীদের ফেলে যাওয়া বস্তাগুলো উদ্ধার করতঃ বস্তার ভিতর হতে ১১,৭০,০০,০০০/-(এগার কোটি সত্তর লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৩,৯০,০০০ (তিন লক্ষ নব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। পরবর্তীতে ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকায় ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে রাতভর তল্লাশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়ন কর্তৃক সকল ধরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।