রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কর্মরত চার সাংবাদিকের অপেশাদার ও উদ্দেশ্যমুলক আচরণে জন্য শিক্ষকদের সংগঠন নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের দেয়া এক বিবৃতির অপব্যাখ্যা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ।২৪ জুলাই, শুক্রবার রাতে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদদাতা হিসেবে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন প্রসঙ্গে’ শিরোনামে নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক সুমাইয়া তাহসিন হামিদা এবং সদস্য সচিব মো. খালিদ হাসান রিয়েল রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কর্মরত চার সাংবাদিকের অপেশাদার ও উদ্দেশ্যমুলক আচরণে জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ একটি এক বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে চার সাংবাদিকের অপেশাদার ও উদ্দেশ্যমুলক আচরণের নিন্দা জানানো হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী বিবেচনায় চার সাংবাদিকের জন্য একটি দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য দেয়া হয়।
অথচ নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের বিবৃতিকে অপব্যাখ্যা করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ব্যনারে ডঃ মতিউর রহমান এবং খাইরুল কবির গত ৩০ জুলাই এক বিবৃতি দেয়। অধিকার সুরক্ষা পরিষদের বিবৃতিটিকে উদ্ভট এবং অশুভ তৎপরতার হীনচক্রান্তমুলক দাবি করে পাল্টা বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ।
নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক সুমাইয়া তাহসিন হামিদা এবং সদস্য সচিব মো. খালিদ হাসান রিয়েল বলেন,অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ব্যনারে ডঃ মতিউর রহমান এবং খাইরুল কবির ক্যাম্পাসের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন।মুলত সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মকর্তাসহ দুর্নীতিবাজদের মদদ দিচ্ছেন।
নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক সুমাইয়া তাহসিন হামিদা বলেন,দুদকের মামলায় তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্তের করায় আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিলেও স্বার্থান্বেষী দুর্নীতিবাজমহলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজরা নিজেদের বাঁচাতে নানা কায়দায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, আমরাএকজন দক্ষ সুযোগ্য উপাচার্যের নেতৃত্বে সফলভাবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছি।একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ঈষনীয় সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে । অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমায়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনেক সংহত এবং সুদৃঢ় । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সত্যিকার অর্থে একজন দক্ষ শাসক,শিক্ষক,সংগঠক,অভিভাবক। যার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।গতিশীল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন । নবপ্রজন্মের শিক্ষক হিসেবে আমরা গর্বিত ।
উল্লেখ্য,২৪ জুলাই, শুক্রবার রাতে নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ প্রদত্ত বিবৃতিতে বলা হয় ,বাংলানিউজ ২৪.কম এর ক্যাম্পাস সংবাদদাতা মাহফুজুল ইসলাম বকুল, যুগান্তরের রাব্বী হাসান সবুজ, মানবজমিনে ও ঢাকা টাইমসের ইভান চৌধুরী ও ইত্তেফাক এর ক্যাম্পাস সংবাদদাতা মোবাশ্বের আহমেদ এর কাছ থেকে কোন গঠনমূলক রিপোর্ট পাওয়া যায় না এবং তারা অপেশাদার ও উদ্দেশ্যমুলক এবং দায়িত্বের অপব্যবহার করছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের ও নিজেদের ক্ষতি করছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলেও তারা সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলোর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় অফিসে অবহিত করেনি। এমন অভিযোগ এনে বিবৃতিতে নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই চার সাংবাদিককে ক্যাম্পাস সংবাদদাতার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখার আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।