এক সপ্তাহর ব্যবধানে কমেছে চালের দাম

এক সপ্তাহর ব্যবধানে কমেছে চালের দাম
এক সপ্তাহর ব্যবধানে কমেছে চালের দাম

প্রাণঘাতী করোনা মহামারিতে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে সংবাদ প্রতিনিধির কাছে এই তথ্য উঠে এসেছে।

গত সপ্তাহে লকডাউনের গুঞ্জনে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া চালের দাম কিছুটা কমেছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। চাহিদা কমায় এই দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৭ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বাজারে এখন মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা কেজি।

এছাড়া নিম্নমানের মিনিকেট (আঠাস) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৩৮ থেকে ৪২ টাকা।

এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ৬৬ দিন সারাদেশে লকডাউন থাকার পর গত ৩১ মে থেকে বেশিরভাগ বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়। এরপর প্রতিদিন করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়।

এছাড়া লাল বা ‘রেড জোন’-কে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে ঢাকার ৪৫ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিই এসব এলাকা লকডাউন করা হবে।

তবে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে রাজধানী ঢাকার রাজাবাজার রেড জোন চিহ্নিত করে পরীক্ষামূলক লকডাউন করা হলেও রাজধানীর অন্য অঞ্চল এখনো অবরুদ্ধ হয়নি।

এদিকে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের গুঞ্জনে কিছু ক্রেতা বাড়তি চাল কেনায় এখন চালের চাহিদা অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ বাড়ায় গত দুদিনে দাম পড়েছে।

এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও চিকন ও মাঝারি চালের দাম কমার তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, চিকন চালের দাম ৪ দশমিক ১০ শতাংশ ও মাঝারি চালের দাম ৩ শতাংশ কমেছে। তবে মোটা চলের দাম ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, খুচরা বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৬৮ টাকা। মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। এক মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ৩৮ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মোটা চালের দাম বেড়ে ৩৮ থেকে ৪৮ টাকা হয়েছে।

কাউরান বাজারের চাল ব্যবসায়ী নুর বলেন, করোনাভাইরাস দেশে ঢুকার সঙ্গে সঙ্গে চাল বিক্রি বেড়ে যায়। এতে দামও বাড়ে। এরপর বিক্রি কমলে দামও কিছুটা কমে আসে। তবে রোজার আগে আবার চালের চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়ে যায়। নতুন চাল আসায় ঈদের পর আবার দাম কমে।

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবার চালের দাম বেড়ে যায়। এখন চাহিদা কমায় আবার চালের দাম কমেছে। এখন ব্যবসায় মন্দা চলছে। দুদিন ধরে তেমন একটা বিক্রি করতে পারিনি।

শান্তিনগরের ব্যবসায়ী রাইয়ান বলেন, সপ্তাহ দুই আগে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল। তবে এখন আবার মিনিকেট, নাজির, পাইজাম ও লতা চালের দাম কমেছে।

Share: