বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে জাতি হিসেবে সুসংগঠিত হওয়ার জন্য সকল প্রকার নির্দেশনা প্রদান করে গেছেন: ড.কলিমউল্লাহ

প্রেসওয়াচ রিপোর্ট:২১ মে,২০২৪, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯২১ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে জাতি হিসেবে সুসংগঠিত হওয়ার জন্য সকল প্রকার নির্দেশনা প্রদান করে গেছেন: ড.কলিমউল্লাহ

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন হাজিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু গবেষক জনাব মাসুদ আহমেদ।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউ এন ডিসএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আব্দুস সাত্তার দুলাল ।

অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, সাকিব আহমেদ, সাদিয়া হালিমা, ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন বিশ্বাস ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য জনাব প্রদীপ কুমার সরকার ও রণজিৎ মল্লিক।

 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তব্যে ড.কলিমউল্লাহ বলেন , “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে জাতি হিসেবে সুসংগঠিত হওয়ার জন্য সকল প্রকার নির্দেশনা প্রদান করে গেছেন”।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাসুদ আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দুরদর্শিতার কথা তুলে ধরেন।

 

তিনি বলেন, “একটি জাতিকে বিকশিত করতে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষার। যাতে দক্ষ মানব শক্তি গড়ে তোলা যায়। দক্ষ মানব শক্তিই পারবে একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে। বঙ্গবন্ধুর গড়া শিক্ষা কমিশন ছিল দক্ষ মানবশক্তি গঠনের হাতিয়ার।

 

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার ও উন্নয়নের প্রবর্তক আবদুস সাত্তার দুলাল মূল বক্তা হিসাবে তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রিয় মানুষ বঙ্গবন্ধু স্বাধিনতার পক্ষে সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছেন এর কারন ছিল তিনি শোষিতের গণতন্ত্র চেয়েছেন ও ধর্মনিরপেক্ষতা চেয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে অসাম্প্রদায়িকতার বিবেচনায়, তবে এই ক্ষেত্রে রাজনীতিবীধদের অবদান উল্লেখযোগ্য নয়। কিন্তু শোষিতের গণতন্ত্র অর্জনের যায়গায় কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।

 

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে তার সাথীরা অনেকেই ত্যাগের রাজনীতি করেছেন, না খেয়ে তারা রাজনীতি চর্চা করেছেন। তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি ছিল মানুষকে রাষ্ট্রের স্বপ্নের সাথে সঙ্গী করা ও তা অর্জন করা। তখন ভিত্তি ছিল, মানুষকে বৈষম্য থেকে মুক্তি দেয়া, তাদেরকে মূল্যবোধ রক্ষায় উৎসাহিত করা, মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং মানুষ যেন তাদের পছন্দগুলো খুজে নিতে ও তা ভোগ করতে পারে তার সুযোগ করে দেয়া। বর্তমানে এটির অনেক অভাব।

 

জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন , ” সমাজে সবসময়ই মতের বিরোধী মতবাদ থাকবে কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজের রাজনৈতিক মতবাদ সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন ধৈর্য্যর সাথে। ”

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।

Share: