বিএড ডিগ্রি নিয়ে বিভ্রান্তি।।মাউশি’র ব্যাখ্যা

ডেইলি প্রেসওয়াচ রিপোর্ট:সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন মিডিয়ায় বেসরকারি ২৩টি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত অন্যান্য কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি নিলে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং সরকারি কোষাগারে অর্থ ফেরত দেওয়ার মর্মে আদালতের বরাত দিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শিক্ষক সমিতি।

উল্লেখ্য , ওই পরিপত্রে কোথাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রী গ্রহণযোগ্য হবে না বলে উল্লেখ ছিল না। কতিপয় অসাধু চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অতিরঞ্জিত করে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অধিভুক্তির শর্তাবলি ও প্রশিক্ষণের গুণগতমান রক্ষা করতে না পারায় ২০০৮ সালে শিক্ষামন্ত্রণালয় ২৩টি বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজকে লাল তালিকাভুক্ত করে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করে। কলেজগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে লাল তালিকার ২৩টি কলেজ আদালতের শরণাপন্ন হয়। ২০০৮ সালের মামলাটি সময় গড়িয়ে ২০১৫ সালে একটি আদেশ দেয় আদালত। আদেশে ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মামলা চলাকালীন সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইসব কলেজ থেকে যারা পাশ করেছে কেবল তাদের অর্জিত সনদ বৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে এই আদেশে কলেজগুলো বৈধ হওয়ার কিংবা ভবিষ্যতে এইসব কলেজ শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র ভর্তি করাতে পারবে কিনা তার কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই।

মহামান্য হাইকের্টের রায়ে বলা হয়- Pending hearing of the rule, let the contemnors be directed to allow MPO scale benefits and other due benefits of the holders of the valid certificates in the B.Ed course obtained from the petitioners colleges and to renew the affiliation of the petitioners colleges for the time being. (Contempt petition number 153 of 2014, Arising out of writ petition no-5038 of 2009)

কিন্তু কলেজ এর মালিক পক্ষ মহামান্য হাইকোর্টের এই আদেশের ভুল ব্যাখা করে মাউশির কাছে অত্যন্ত কৌশলে তা উপস্থাপন করে। মাউশি থেকে মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি পক্ষপাতমূলক চিঠি ইস্যু করায় ২০১৯ সালে। যাতে কেবল মামলায় থাকা ২৩টি কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজ থেকে বিএড সনদ গ্রহণ না করার আদেশ দেয়া হয়। এতে নড়েচড়ে বসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বাদবাকি মানসম্পন্ন কলেজগুলোর প্রতিনিধিরা। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রায় ১০০টি কলেজ বিএড প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে সেখানে কি করে মাত্র ২৩টি কলেজের পক্ষে এমন একতরফা নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি? বিষয়টি মাউশির ডিজি মহোদয়ের নজরে আনলে তিনি তৎক্ষণাৎ এই আদেশ বাতিল করে চিঠি ইস্যু করেন। (স্মারক নং: ওএম-০১-ম/২০১৫/২২৬১, তারিখ: ২২/০৫/২০১৯) কিন্তু মাউশির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সেই চিঠি আর পৌঁছেনি জেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। এমনকি মাউশির ওয়েবসাইটেও এই চিঠি আপলোড করা হয়নি। লাল তালিকার কলেজগুলো মাউশির এই আসকারাকে কাজে লাগিয়ে আবার বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিউজ প্রচার করে দাবি করে যে, তাদের ২৩টি কলেজ ব্যতীত অন্য কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রি নিলে বিএড স্কেল পাওয়া যাবে না। মানসম্পন্ন বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রতিনিধিদের তীব্র প্রতিবাদে মুখে ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের পক্ষে দেওয়া পূর্বের ২টি আদেশই বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। যার স্মারক নং শিম/আইন সেল (রীট)-৬/সাতক্ষীরা/২০০৯/২৩, তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি.

Share: