আইরিন নাহার:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা। রাজধানীর তেজগাঁও স্হ ঢাকা স্থায়ী ক্যাম্পাসে সকাল ১১ টায় আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা রেজিস্ট্রার ড. জামিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর জি ইউ আহসান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ডঃ আহসান বলেন,শেখ রাসেল বিশ্বে অধিকার ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতীক হিসেবে সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন। শহীদ রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
সভাপতি বক্তৃতায় ড. জামিল আহমেদ বলেন,কোনো শিশুই যাতে রাসেলের মতো নৃশংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর সকল শিশু নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে ভালোবাসার মাঝে বেড়ে উঠার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।শেখ রাসেল দিবসে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।
সভায় অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মিজানুর রহমান, বাণিজ্য অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন মোহাম্মদ শাহীদুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর রফিক উল্লাহ, প্রক্টর মলয় সরকার, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান জোহরত আরা ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর মালোবিকা মজুমদার, প্রভাষক ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতীয় সংগীত এবং শহীদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শহীদ শেখ রাসেলের জীবনী আলোচনার পাশাপাশি কবিতা সহ আবৃত্তি করা হয়। আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন তাসনিম ক্রোরি, ইংরেজি বিভাগের লেকচারার ইউকি বড়ুয়া ও একটি স্বরচিত ছড়া আবৃত্তি করেন সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর দিপু সিদ্দিকী।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে তার জন্ম হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটে নিহত হয় শেখ রাসেল।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,শেখ রাসেলসহ সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।