প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট:গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সদ্য বিদায়ী ট্রাস্টি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নবগঠিত ট্রাস্টিবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পালের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করে তার অপসারণ দাবি করেন।
রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু নবনিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পালের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১২টি অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে অর্থ পাচার, দুদক আইনে মামলার মত গুরুতর বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান মাননীয় ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
১২দফা অভিযোগনামার মধ্যে ট্রাস্টের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) চাপ প্রয়োগ করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার ও কমিশন গ্রহণ; একক কর্তৃত্বে ট্রাস্ট পরিচালনার অপচেষ্টা এবং ইচ্ছা অনুযায়ী বিভিন্ন উপ-কমিটি চালাতে বাধ্য করা (তার ইচ্ছার বিরোধিতা করায় তিনি প্রকাশনা উপ-কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সম্মানীত ট্রাস্টি নান্টু রায়কে প্রকাশ্য সভায় মারতে উদ্যত হন, যার ফলে প্রকাশনা উপ-কমিটির যাবতীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে); হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যথেচ্ছ দুর্ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ট্রাস্টে কর্মরত বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার (তার দুর্ব্যবহারের কারণে নিয়োগ দেয়ার পরেও কোন কর্মকর্তা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করে যাচ্ছেন, ফলে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প এবং সনাতন ধর্মীয় সংস্কার প্রকল্পের পিডি না থাকায় ট্রাস্টের বিভিন্ন প্রকল্পের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ধর্মীয় পাঠ্যবই পাচ্ছে না) উল্লেখযোগ্য।
রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু সুব্রত পালকে চরম দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়িÑ এরকম অসংখ্য রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী পদে আসীন থাকায় ট্রাস্ট অফিসে সময় দিতে না পারা; কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য এবং সন্তানের উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশে অর্থ পাচারের মত গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন।
একাধিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে সুব্রত পাল টান দুই বার ট্রাস্টি থাকাকালীন অনেক সিনিয়র গুনীজনের সাথে অসৌজন্যমূল্যক আচরন সহ অনেক অনেক অভিযোগ থাকার পরেও তাকে তৃতীয় বারের মতো একটি রাস্ট্রিয় ধর্মীয় প্রতিস্ঠান ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করা কোনভাবেই উচিত হয়নি।