বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় ঐক্য,মুক্তি ও শক্তির উৎস: ড.কলিমউল্লাহ 

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৮০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন মারুফ।

প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও
প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা

এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদের জাতীয় ঐক্য, মুক্তি ও শক্তির উৎস। বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে প্রয়োজন।

আব্দুস সাত্তার দুলাল

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,স্বাধীনতা যুদ্ধের গোটা অধ্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য সাধারণ ভাবমূর্তি মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা এবং জাতীয় ঐক্য ও শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।

জাকির হোসেন মারুফ

জাকির হোসেন মারুফ বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশ তথা বাংলার ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছিন্ন সত্তা। নিজের জীবন, নিজের পারিবারিক জীবনকে বাংলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করে বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র পৃথিবীর মানচিত্রে এঁকে দিয়েছেন।

 

গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, আমরা যে বাঙালি, সেই আত্মপরিচয় এবং স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেই ভিত্তি করেছিলেন।

 

আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির দূত।

ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন,বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হয়নি, তিনি চেতনালোকে সদা জাগ্রত, তিনি ‘চিরঞ্জীব’।

ফারহানা আকতার

”বঙ্গবন্ধুকে যথাযথভাবে বুঝতে হলে উপমহাদেশের ইতিহাসও যথাযথ ভাবে জানতে হবে।”ফারহানা আক্তার ‘নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার পঞ্চম পর্ব উপস্থাপন কালে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় তিনটি কাল ও তিনটি জাতি পেয়েছিলেন।

এই তিনটি জাতির ভেতর দিয়েই তিনি বেড়ে উঠেছেন। এই তিনটি ভিন্ন জাতির মধ্যে  বেড়ে উঠার লব্ধ অভিজ্ঞতা ও তাঁর দূরদর্শিতায় একটি পৃথক জাতিসত্তার জন্ম হয়। নাম তার বাঙালি জাতিসত্তা। যা একটি পৃথক ভূখণ্ড সার্বভৌম বাংলাদেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নেয়।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম, লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার ।

 

Share: