দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এ নির্বাচনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বুধবার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হয় শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নতুন নেতা নির্বাচিত করতে একে একে ভোট দেন পার্লামেন্টের ২১৯ আইনপ্রণেতা। এছাড়াও অনুপস্থিত ছিলেন দুজন। বাতিল হয় আরও চারটি ভোট।
দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তার পক্ষে ভোট পড়ে ১৩৪টি।
অপরদিকে প্রধান বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থী দুলাস আলাহাপেরুমা পান ৮২ ভোট। এছাড়াও তৃতীয় প্রার্থী অনুঢ়া দেশনায়েকে পান মাত্র তিন ভোট।
নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন রনিল। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা কঠিন সময় পার করছে। সংকট সমাধানে সরকারের সামনে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্ষুধার রাজ্যে শ্রীলঙ্কা গদ্যময়
২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন রনিল। এর আগে ছয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার পরপরই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় অবিলম্বে রনিলকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তারা।
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গেল কয়েক মাস ধরেই বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গেল মে মাসে বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করলে প্রধানমন্ত্রী করা হয় রনিলকে।
সবশেষ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালালে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।