তিস্তা রেলসেতুর নড়বড়ে গার্ডারে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

মাহবুবুল হক

লালমনিরহাটে সোয়া ১০০ বছরের পুরনো তিস্তা রেলসেতুর নড়বড়ে গার্ডারে এখনও চলাচল করছে ট্রেন। প্রতি দিন ১৪টি ট্রেনে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট জেলার লাখ লাখ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।

তিস্তা রেলসেতুর নড়বড়ে গার্ডারে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দেয়া হলেও এখনো সাড়া মেলেনি রেল মন্ত্রণালয়ের। তবে ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে যতদ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।


১৮৯৯ সালের নির্মিত এই রেলসেতু ব্যবহার করে প্রতিদিন তিস্তা নদী পার হয় ১৪টি ট্রেন। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৩ স্প্যানের ১৯৫০ ফুট  দীর্ঘ সেতুটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়। স্বাধীনতার পর মেরামত করে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়। রেলসেতু হলেও ১৯৭৮ সাল থেকে সড়ক সেতু হিসেবেও ব্যবহার শুরু হয়।

লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার লাখ লাখ মানুষকে রেলে পাড়ি দিতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়েই।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়ন তিস্তা বাজারসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সেতুটির ওপর দিয়ে যখন ট্রেন চলাচল করে তখন ওই সেতুর গার্ডারগুলো নড়বড়ে অবস্থার মতোই হয় বলে সময় সংবাদকে জানান এলাকার মানুষ।


গোকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ সরকার টোটন সময় সংবাদকে বলেন, বিষয়টি আমি জানি। বিভিন্ন সময়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজারসহ রেলওয়ের কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আজও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সুফী নুর নোহাম্মদ সময় সংবাদকে বলেন, আমরা যাত্রীদের জানমালের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবনা আকারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছি। সেটি অনুমোদন হলে আমরা টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু করব। তবে কবে নাগাদ এটি আলোর মুখ দেখবে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

শীর্ষ মহলে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া না মিললেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর।

২০১২ সালে পাশে নতুন একটি সড়ক সেতু চালু হলেও রেলসেতুটি আর নতুন করে নির্মাণ বা বড় ধরনের সংস্কার হয়নি।  
Share: