পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে বঙ্গবন্ধু তত বেশি অনুভূত হচ্ছেন বাঙালির হৃদয়ে: ড.কলিমউল্লাহ   

প্রেস ওয়াচ রিপোর্টঃ রবিবার সন্ধ্যায় মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ সেমিনারের ৩০৫তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,নীলফামারী-জলঢাকা থেকে পি এইচ ডি গবেষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও যশোর থেকে নুর এ আলম জাহিদ।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে বঙ্গবন্ধু তত বেশি অনুভূত হচ্ছে বাঙালির হৃদয়ে: ড.কলিমউল্লাহ
প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে বঙ্গবন্ধু তত বেশি অনুভূত হচ্ছেন বাঙালির হৃদয়ে। তিনি আরো বলেন,জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য সাহস ও অনুপ্রেরণায় বাস্তবায়িত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাঙালির জীবনে ১৫ আগস্টে ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত না হলে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখে যেতে পারতেন। তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন পদ্মা পাড়ের মানুষের চোখেমুখে হাসি দেখে।

 

আর্জিনা খানম
আর্জিনা খানম

আর্জিনা খানম বলেন,মুজিব সৈনিক হিসেবে আমরা নিজেদের প্রতি এবং দেশের প্রতি সুবিচার করতে পারছি না ।এটা দুঃখজনক ।এই পরিস্থিতি থেকে আমাদেরকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।

আব্দুস সাত্তার দুলাল
আবদুস সাত্তার দুলাল

আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বহুমুখী গুণাবলীর সামান্যতম গুণও আমাদের রাজনৈতিক জীবনে প্রতিফলিত হয়নি।

 

প্রশান্ত কুমার সরকারপ্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বঙ্গবন্ধু প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি চা শিল্পের আমূল পরিবর্তন সাধন করেন।পরবর্তীতে উচ্চ ফলনশীল গাছ রোপন এবং চা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করে চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন

 

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য সমস্যা মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সম্মিলিতভাবে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে।

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

ফাতেমা-তুজ-জোহরা

 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিমরান ফেরদৌস সিনথিয়া, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার,সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ই এন রুমা ও বি-বাড়িয়া থেকে আইডিয়াল কিডস কেয়ার স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বায়েজিদা ফারজানা।

Share: