বিয়ের প্রলোভনে ৪ বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে ধর্ষণ!

দিপু সিদ্দিকীঃ

রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকসহ চার বন্ধুর বিরুদ্ধে।

সোমবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শারীরিক অসুস্থ ওই কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া স্থানীয় এক নারী জানান, সন্ধ্যার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিল ওই কিশোরী। তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। উঠে দাঁড়াতেও পারছিল না। তখন সে সাহায্য চাইলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী হাসপাতালে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তামজিদ হোসেন আদর (২২) নামে এক যুবকের সঙ্গে এক বছর তিন মাস ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই হয় তার। দুজনই থাকে যাত্রাবাড়ীতে পাশাপাশি এলাকায়। দুজনে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। তিন দিন আগে তারা বিয়ে করবে বলে বাসা থেকে চলে আসেন। এ তিনদিন বিভিন্ন জায়গায় ছিল। সবশেষ আজ সোমবার (৭ মার্চ) বেলা তিনটার দিকে ওই কিশোরীকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে যান।

পুলিশের কাছে আরও অভিযোগ করে ওই কিশোরী জানান, সেখানে গিয়ে দেখেন, রুমটিতে আরও তিন যুবক। তখন তার প্রেমিক তামজিদ জানায়, তারা বিয়ের সাক্ষী হবে এজন্য এসেছে। এরপর তাকে হোটেলে আটকে তারা চারজন মিলে গণধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে তাকে ভয়-ভীতি দেখায় ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলা হবে এবং আগের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেবে। ওই মেয়ে ঘটনাটি কাউকে জানাবে না বলে তাদের আশ্বস্ত করলে তখন তাকে সেখান থেকে চলে আসতে দেয়। পরে বাইরে এসে সে রাস্তায় পড়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীকে দুই পথচারী নারী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।

এদিকে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, গণধর্ষণের একটি সংবাদ হাসপাতাল থেকে পেয়েছি। বিস্তারিত জানার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। 

Share: