সবুজবাগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও খাদ্য বিতরণী

শাফিউল বাশার:সোমবার ৭ই মার্চ  সন্ধ্যায় জা‌তির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌নের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষ‌ণের ৫১ বছর পূ‌র্তি উপলক্ষে  সবুজবাগে আলোচনাসভা ও খাদ্য বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৩ নং ওয়ার্ডের নয়াবাগে এক নং ইউনিটের  উদ্যোগে এই আলোচনা সভা এবং অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক জিয়া।

দক্ষিণগাঁও  ইউনিয়ন আওয়ামী লী‌গের সাবেক সহ সভাপতি বাছির আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনু‌ষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লী‌গ নেতা আব্দুল মতিন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা শাখাওয়াত হোসেন তপন ,প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ জার্নালিস্টস এলমনাই এ্যাসোসিয়েশন এর ভিপি,সিনিয়র সাংবাদিক ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী , সবুজবাগ থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শ্যমল  সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

বক্তারা ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর আলোকপাত করেন।

বক্তারা বলেন,“ইউনেস্কো কর্তৃক জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি একদিকে যেমন পৃথিবীর মানুষকে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও আমাদের মুক্তিসংগ্রাম সমন্ধে জানার সুযোগ করে দিয়েছে অপরদিকে কালোত্তীর্ণ এই ভাষণটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ন্যায় ও মুক্তির পথে উজ্জ্বীবিত করছে”।

বক্তারা আরও বলেন, এই ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জোগাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

আলোচকগণ এই ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, সুদূর প্রসারী প্রভাবের উপরও আলোকপাত করেন।

৭ই মার্চ  সন্ধ্যায় জা‌তির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌নের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষ‌ণের ৫১ বছর পূ‌র্তি উপলক্ষে  সবুজবাগে আলোচনাসভা ও খাদ্য বিতরণী অনুষ্ঠিত-ডেইলি প্রেসওয়াচ ।

জাতির পিতার এই ভাষণে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একজন সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের সুচিন্তিত কৌশলের সবটুকুই প্রতিভাত হয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন বক্তাগণ।

৭ই মার্চের ভাষণ যাতে সর্বদা দীপ্যমান থাকে এবং জাতির পিতার সম্মোহনী দরাজ কণ্ঠ যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুরণিত হয় সেজন্য নতুন প্রজন্মকে ভাষণটি বার বার শোনানোর আহ্বান জানান আলোচকরা। 

সভায় জাতির পিতা, বঙ্গমাতা, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডে নিহীত জাতির পিতার পরিবারের সদস্যগণ,  মুক্তিযোদ্ধা, দু’লাখ নির্যাতিত মা-বোন ও ভাষা শহীদসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করা হয় এবং গন-খাবারের আয়োজন করা হয় ।অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনা করেন  স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Share: