আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ অবশ্যই শেষ হবে। কেউ ভাঙার ধৃষ্টতা দেখালে চরম মূল্য দিতে হবে। ভাস্কর্য ভাঙার ক্ষেত্রে কারও বিরুদ্ধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরির তীব্র সমালোচনা করেন। এরপর গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মাহফিলে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে সমালোচনা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। এরইমধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ডান হাত ও পুরো মুখমণ্ডল এবং হাতের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এদিকে, আজ সোমবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, সারাদেশের যেসব জেলা-উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে সেসবের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ নির্মাণাধীন অন্যান্য ম্যুরালেরও নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য একটি রিট মামলার শুনানিকালে সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।