বাবু ২৫ শতক জমিতে ব্লাক বেরি জাতের এই তরমুজের চাষ করেন। অসময়ে উৎপাদন হওয়ায় এ তরমুজ বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছেন তিনি। ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে এ পর্যন্ত গিয়াসউদ্দিন বাবু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছেন।
বাবু জানান, অসময়েও তরমুজের চাহিদা থাকায় ক্রেতারা মাঠ থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ২৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করতে তার মোট খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। খরচের থেকে যে লাভ হয়েছে তাতে বেজায় খুশি তিনি। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ব্লাক বেরি জাতের তরমুজের বীজ বপন করেন তিনি। অক্টোবরের মধ্যেই খাবার উপযোগী হয় এ তরমুজ।
হরিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মারুফ হোসেন জানান, অসময়ের এ তরমুজ খেতে বেশ মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আগাম জাতের তরমুজ চাষে এ উপজেলার অন্যান্য কৃষকদেরও আহ্বান জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, এটি ব্লাক বক্স জাতের তরমুজ। এ ফসলটি রোপন থেকে উত্তোলন পর্যন্ত খুবই কষ্টসাধ্য। শ্রম ও সার্বক্ষণিক সতর্কতার মধ্যে করতে হয়। বাবুর প্রশংসা করে অন্যান্য কৃষকদের তাকে অনুসরণ করতে পারেন।