কাদম্বরী’এক অসমাপ্ত প্রেমের নাম -লীলা দাম মজুমদার

*তোমারেই করিয়াছি জীবনেরই দ্রুবতারা

কাদম্বরী—

এক অসমাপ্ত প্রেমের নাম

আমি কাদম্বরী। জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের জ্যোতিনইন্দ্র নাথের স্ত্রী। ব্রাহ্ম সমাজের প্রধান… মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের পুত্রবধু। বিখ্যাত ঠাকুর বাড়ীর বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলির মেয়ে। আমার যখন বিয়ে হোল বয়স তখন কতই বা হবে… *ন* বছর । বিয়ে ব্যাপারটা যে কি তখনও সেটা বুঝে উঠতে পারিনি।

আমি দেখতে একেবারেই সুন্দরী না। কালো…রোগাপাতলা… ছিপছিপে। লেখা পড়াও খুব বেশি কিছু জানিনা। এই ঠাকুর বাড়ীর বৌ হওয়ার কোন যোগ্যতাই যে নেই আমার।

মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথের পঞ্চম পুত্র জ্যোতিনইন্দ্র নাথ ঠাকুর একদিকে জমিদার পুত্র… শিক্ষিত… সুদর্শন… এক কথায় সুপুরুষ। অন্য দিকে বাঙালী নাট্যকার… সঙ্গীত স্রষ্টা… সম্পাদক এবং চিত্র শিল্পী। শিপিং কম্পানিও খুলেছেন। অনেক টাকা আর পরিশ্রমের বিনিময়ে জাহাজ কিনেছেন। যার নাম দিয়েছেন… *সরোজিনী*।

কিন্তু তারপরও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইচ্ছায় দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই বিয়ে হয়েছে আমাদের। শুধু মেঝ দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিয়েতে ছিলেন না। তিনি কোলকাতাতে ছিলেন।

দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর ব্রাহ্ম ছিলেন বলে… ঐ সময়ে সম্ভ্রান্ত হিন্দু ব্রাহ্মন পরিবারের কোন সুন্দরী… শিক্ষিতা যোগ্য মেয়ে এই ঠাকুর বাড়ীর বৌ করে আনাটা ছিল অতি দূরহ।

***ব্রাহ্মণ সমাজের পাছে জাত চলে যায়*** ?

বাড়ীর বৌ হওয়ার কারণে আমার যদিওবা অন্দর মহলে… ঠাকুরঘরে… রান্নাঘরে…বাড়ীর ছাদে সব জায়গাতেই যাওয়ার অধিকার ছিল। কিন্তু আমার বাবা শ্যাম গাঙ্গুলি আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও সেই অধিকার ছিলোনা। বাড়ীর চাকরের সাথে করুণা করা যায়… সাহায্য করা যায়। কিন্তু সমগোত্রের বা সমব্যবহারের অধিকার দেয়া যায় না।

 

আমার স্বামী ছিলেন খুব মুক্ত মনের মানুষ। কোন রকম গোঁড়ামি ছিলোনা উনার। কখন স্বপ্নেও ভাবিনী কোনদিন ঠাকুর বাড়ীর সদর দরজা পেড়িয়ে ঘোড়ায় চরে স্বামীর সাথে গড়ের মাঠে যাবো…নিজের হাতে লাগাম ছুটিয়ে।  ঘোড়ায় চরা… লাগাম ধরা এই সবই আমার স্বামী আমাকে শিখিয়েছেন। তিনি শুধু আমার স্বামী ছিলেন না…আমার অভিভাবকও ছিলেন।

 

স্বামী জ্যোতিনইন্দ্র নাথ সব সময় ব্যস্ত থাকতেন… উনার শিক্ষিতা… শহুরে আধুনিকা মেঝ বৌঠানের রূপ আর গানের প্রশংসায়। সেই সাথে নাটকের নায়িকা *সরোজিনী দেবীর* মনোরঞ্জনের প্রচেষ্টাও চলতো বিস্তর।

 

আমি ভালোবাসার প্রহর গুণে গুণে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরতাম। কখনোবা আরাম কেদারায়… কখনোবা মাদুর পাতা মেঝেতে। দিনের পর দিন রাতের পর রাত কেটে যেতো আদরের উপবাসে। খুবই সাজানো ছিল আমাদের সেই সম্পর্কটা। আমাদের দু-দুটো প্রান… একটা প্রান হীন সম্পর্ককে বয়ে নিয়ে চলেছি অনন্ত্যের সীমানায়। শুকনো বালির মতো জীবনটা যখন সময়ের স্রোতে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে… তখন উপস্থিত হোল আরেকটি উৎপাত। শুরু হয় অন্দর মহলে আমাকে *বাজা* বলে কটূক্তি আর গঞ্জনা করা।

***শুকনো মরু ভূমিতে প্রানের জন্ম কি করে হয় বল***?

মেঝদাদার কথাগুলো সব সময় আমার কানে ভেসে বেড়াতো… *চাকরের মেয়ে হয়েছে জ্যোতির বৌ… এ বিয়ে কোনদিনই মঙ্গলের হতে পারে না*। কিন্তু আমিতো এই ঠাকুর বাড়ীর বৌ হতে চাইনি ! বৌ কেমন হয়… কি করে হয় কিছুই বোঝার মতো বয়স তখন আমার হয়নি। আমি আমার স্বামীর অযোগ্য… বার বার এই কথাটা মনে করিয়ে আমার ছোট্ট হৃদয় টাকে ক্ষত বিক্ষত করে তুলেছে।

যখন এ বাড়ীর বৌ হয়ে এসেছিলাম আমার ন’ আর তখন রবি ছিল সাত বছরের। জ্যোতিনইন্দ্র নাথের তখন বয়স উনিশ। ন’ বছরের একটা বালিকার সাথে কি করে উনিশ বছরের পূর্ণ যুবকের বন্ধুত্ব হয়?  তাইতো সাত বছরের রবির সাথে পুতুল খেলা দিয়ে শুরু হোল আমাদের সখ্যতা। সেই পুতুল খেলা থেকে এক সাথে বেড়ে উঠেছি দুটো রঙ্গিন প্রজাপতির মতো।

 

১২৭৫ বঙ্গাব্দের ২৩ আষাঢ় রবিবার…আমার বিয়ের দিন।

বিয়ের প্রথম দিন যখন বাড়ীর সবাই আমাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুললো… তখন ছোট্ট রবি আমার সামনে এসে মিষ্টি হেসে বললো…

***তুমি আমার নতুন বৌঠান ?***

মাত্র চৌদ্দ বছরে রবি তার মাকে হারিয়েছিল। এতোবড় জমিদার বাড়ীতে লোকের অভাব নেই। শুধু অভাব আছে মা হারা রবিকে দেখে রাখার মানুষের। তখন আমি এগিয়ে এলাম রবির পাশে। ওকে স্নান করানো, খাবার খাইয়ে দেয়া, ঘুম পাড়ানো সব কিছু। এই সব দেখে মাঝে মাঝে কেউ কেউ বলতো *পাকা গিন্নী একটা*

 

দুবছর পরে প্রথম বারের মতো বিলেত থেকে সবে মাত্র দেশে ফিরেছে রবি। এতদিন পরে ফিরে এসেছে তোমাদের সবার রবিন্দ্রনাথ… আর আমার কাছে…আমার সেই ছোট্ট রবি… আমার বন্ধু… আমার সখা… আমার খেলার সাথী… আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা।

রবি আমার সাথে সাথে সারা বাড়িময় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিনের দেখা এই বাড়ি… ফুল… লতাপাতা… আমার নন্দন কানন সব কিছু এতো সুন্দর মনে হচ্ছিলো… যা আগে কখনই মনে হয়নি। ঝলমল করে উঠলো আমার ভেতরটা।

আমি আপন মনে পিয়ানোতে রবির গানের সুর বাজাচ্ছিলাম…

*** আমি তোমার প্রেমে হব সবার কলঙ্কভাগী।

আমি সকল দাগে হব দাগী।।

কলঙ্কভাগী***

রবি এসে আমার পিছনে দাঁড়ালো। মাথার চুল এলোমেলো। দেখে মনে হোল ও একটা তন্ময়ের মধ্যে আছে।

**কি রবি কবিতা লিখছনা ?

**না বৌঠান আমার মন লাগছিলনা। কতোগুলো পাখির ডাক শুনে মনে হোল ভোর হয়ে গেছে। দাড়িয়ে দেখি সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই। ছাদে হাটতে যাবে বৌঠান ? এক্ষুনি সন্ধ্যা হবে। দিগন্ত সীমা যখন মুছে যাবে…তখন ছাদে হাটতে হাটতে মনে হবে… যেন অনেক দূরে হেঁটে চলেছি…

 

রাতের অন্ধকারকে সরিয়ে পূব দিগন্তে লাল সূর্যটা কি ভাবে একটু একটু করে দখল নেয়… সেই দৃশ্য ঠাকুরপোই আমাকে দেখিয়েছিল।

 

**আমার জীবনের প্রথম সূর্যোদয়**।

 

সূর্যের সেই সোনালী আভা শুধু পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পরেনি… পড়েছিল আমার আর রবির মনেও।

 

বাড়ীর তিন তলার ছাদে অনেক সময় কেটে গেছে রবির… আমার আর রবির নতুন দাদার। গল্পের ছলে রবি লিখতো কবিতা… নতুন দাদা আপন মনে কখনো রবির… কখনোবা আমার ছবি আঁকতো। আর আমি বসে বসে সেলাই করতাম। নিজের মনেই গেয়ে উঠতাম…

 

***আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে…

তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে***

বিলেত থেকে ফেরার পরে রবির চলনে বলনে, কথা বাত্রায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। ফুরফুরে মেজাজে মুখে ইংরেজি গানের সুর। এ যেন অন্য এক রবি !! আমার দেখাতে ঐ সময়ের রবি ছিল অনিন্দ্য সুন্দর মোহনীয়!! আর ঐ সময়টা ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।

বিলেতে দেখা নারী পুরুষের এক সাথে কাজ করা… ঘুরে বেড়ানো… আনন্দ করা… লিঙ্গের এই সমতা রবিকে মুগ্ধ করেছিলো। আর তাই আমাদের এই সমাজে নারিদেরকে নির্বাসিত করে… আমরা যে কতোটা সুখ আর উন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি সে কথা রবি **ভারতীতে** এ লিখেছিল।

রবির মতে… চিঠি হোল দুজন মানুষের মধ্যে মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। যাদের মধ্যে কখনো চিঠির আদান প্রদান ঘটেনি… তাদের নিজেদের মাঝের অনেক কিছুই অজানা অচেনা থেকে যায়।

বিলেতে বসে রবি গানের যে সম্বভার তার মাঝে আত্মস্থ করেছিলো… তাই নিয়ে লিখেছিল *বাল্মিকি প্রতিভা* ঠাকুর বাড়িতেই প্রথম মঞ্চস্থ হোল বাল্মিকি প্রতিভা নাট্যরূপ। বিশেষ অতিথি ছিলেন… হরপ্রসাদ শাস্রি… বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়… গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়… অক্ষয় চৌধুরী… বিহারী লাল চক্রবর্তী আরও অনেকেই। এই ঠাকুর বাড়ীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতো গান… কবিতা আর সাহিত্য চর্চা।

 

**বাল্মিকি প্রতিভা… অরণ্য-পঞ্চম দৃশ্য** এই গীতি নাট্যের এখনো প্রত্যেকটা কথা আমার বুকে তীরের মতো বিধে আছে…

*** জীবনের কিছু হল না হায়—

হল না গো হল না… হায় হায়।

গহনে গহনে কত আর ভ্রমিব নিরাশার এ আঁধারে।

শুন্য হৃদয় আর বহিতে যে পারি না…

পারিনা না গো… পারি না আর।।

কি লয়ে এখন ধরিব জীবন… দিবসরজনী চলিয়া যায়***

 

আমি শুধু তোমার জন্যই বেঁচে ছিলাম রবি। তুমি ছাড়া আমার তো আর বাঁচার কোন কারন ছিলোনা। তুমি ছিলে আমার অবলম্বন। তোমার কবিতা… তোমার গান… তোমার আমাকে বোঝা… আমাকে অনুভব করা… আমাকে আদর করা… এই সব কিছুই ছিল আমার অপমান আর কষ্টের প্রশান্তি।

তোমার… আমার হাতে গড়া আমাদের এই শখের নন্দন কানন। কতোনা সুখের স্মৃতি বাধা পরে আছে এই নন্দন কাননে। তখন সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই… রবি আমাকে নিয়ে গেলো জুঁই গাছের কাছে। শক্ত করে আমার হাত দুটো ধরে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকলো আমার চোখের দিকে। ওর সেই চোখে আমি সেদিন দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ। আমি হাত দুটো ছাড়িয়ে কপট ধমকের সুরে রবিকে বললাম…এভাবে যদি আমাদের কেউ এখানে দেখে নেয়… কি হবে বলতো ? রবি মৃদু হেসে বললো…

* বৌঠান এ নন্দন কানন… এখানে মর্তের মানুষের কোন দৃষ্টি এসে পৌছায় না*

ঠাকুরপো তুমি ছিলে আমার দহন। আর সেই দহনে তুমিও পুড়েছ।

আমাকে তুমি কাছে টেনে নিয়েছিলে তোমার বুকে। সেদিন আমি তোমাকে বাধা দিতে পারিনি। মিথ্যে বলবো না…হয়তো বাধা দিতে চাইনি। আমি জানতাম এ অন্যায়… এ পাপ… কিন্তু তবুও আমি তোমার থেকে দূরে সরে থাকতে পারিনি। তোমার ভালোবাসার টানে… শ্রাবণের ধারার মতো নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি তোমার মাঝে। এই অন্যায় আমার কাছে মনে হয়েছিল তোমার নন্দন কাননের বেলী আর জুঁই ফুলের মতো পবিত্র। আমার বহুদিনের কাংক্ষিত ভালোবাসার উপবাস ভেঙ্গে গিয়েছিলো… তোমার শক্ত বাহুর বন্ধনে আর উষ্ণ ঠোঁটের চুম্বনে। তোমাকে ভালোবেসে আজ আমি **অসতী** রবি আমার সেই জীবন এখন ডুবে যেতে চলেছে ঐ দিগন্তের অস্তাচলে।

 

রবি ঘরে এসে নিজের হাতে লেখা আমাকে তার বিয়ের কার্ড দিয়ে গেলো। তাঁতে লিখা ছিলঃ

সুচরিতাসু…

আগামী রবিবার ২৪ শে অগ্রহায়ণ শুভ লগ্নে…শ্রীমান রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের শুভবিবাহ হইবে। আপনি উক্ত দিবসে ৬ নং জোড়াসাঁকো মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুরের ভবনে উপস্থিত থাকিয়া আমাকে বাধিত করিবেন।

ইতি…

আপনার একান্ত অনুগত

শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আমার আদরের ঠাকুরপো… তোমার বিয়ে হয়েছে… সবে চার মাস। কিন্তু আমার ভাবনায় সে চার মাস পরিণত হয়েছে চার যুগে। তোমাকে কাছে ডাকা… তোমার কাছে আসার সব অধিকার আমার শেষ হয়ে গেছে। বিয়ের পরে মৃণালিনীকে পেয়ে অনেক বদলে গেছো তুমি।

আমি লুকিয়ে লুকিয়ে এখনও তোমার গান…কবিতা পড়ি। আমি তোমার কাছে পুরাতন হয়ে গেছি। তাইতো তুমি লিখেছোঁ…

হেথা হতে যাও পুরাতন…!! হেথায় নূতন খেলা আরম্ভ হয়েছে !!!

এখন মৃণালিনীই তোমার নতুন। তুমি আমার সাথে ছলনা করেছো!!  কিন্তু আমি তোমার সাথে ছলনা করিনি!! তোমাকে মন প্রান দিয়ে ভালোবেসেছি। ভুলে গেলে সব কিছু ? তোমার আমার সকাল…দুপুর…রাতের কতো কথা… কতো গল্প…গান আর কবিতা ?

 

তুমি আমার জীবনে এসেছিলে পরিযায়ী পাখির মতো।

আর সেই সাথে সাথে এই পৃথিবীতে… এই সংসারে আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও নিঃশেষ হয়ে গেছে। প্রতিটা দুপুরে তুমি ছুটে আসতে আমার কাছে… তোমার লেখা কবিতা নিয়ে। আমার চোখে চোখ রেখে বলতে নতুন বৌঠান… এই কবিতা শুধু তোমার আর আমার। এই গান শুধু আমার আর তোমার…

****তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা… এ সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা****

 

কিন্তু সেদিন তুমি আমায় মিথ্যে বলেছিলে!! আমার হৃদয়ের ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ে খেলেছিলে!! কোনদিন আমাকে ছেঁড়ে যাবে না তুমি…এ কথা বলেছিলে। আমি আজও তোমার অপেক্ষায় থাকি রবি। শুধু একবার শ্রাবণের ধারার মতো বৃষ্টি হয়ে আসো আমার জীবনে।

 

রবি তুমি ছিলে আমার জীবনের শেষ অবলম্বন। আমার সেই আশ্রয় টুকু এখন আর নেই। একাকীত্ব আমার জীবনটাকে অন্ধকারের শেষ সীমানায় পৌঁছে দিয়েছে। তোমাকে হাড়িয়ে কষ্ট আর হাহাকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবোনা।

আজ ১৭ই এপ্রিল ১৮৮৪

আমার শোবার ঘরের ঠিক দরজা সংলগ্ন দেয়ালে একটি বড় আয়না। আজ আমার মনে দক্ষিণের হাওয়া উকি দিচ্ছিলো! বিকেলে আমি স্নান সেরে ভেজা চুলে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখছিলাম… আর গুণ গুণ করে রবির লেখা গান গাইছিলাম…

**** আমার নিশীথরাতের বাদলধারা,

এসো হে গোপনে আমার স্বপন লোকে দিশাহারা****

 

আমার তো খুব একটা বাইরে কোথাও যাওয়া হয়না… তাই অনেক শাড়ি আছে যার ভাজও খোলা হয়নি। আমি বেছে বেছে গাঢ় নীল রঙয়ের শাড়ি পরলাম। ঘরে বিলেতি প্রসাধনের কোন অভাব নেই। কিন্তু আমার সেইসব ভালো লাগে না।

 

ধূপের ধোঁয়ায় চুল বেঁধে নেয়া… বগলে চাঁপা ফুলের রস লাগিয়ে দেয়া… চন্দনের গুঁড়ো বুকের ভাঁজে গুজে দেয়া… এই সবই আমার বেশী পছন্দ।

 

আজ নূতন সাজে… নূতন ভাবে… সেজে দাঁড়াবো আমার জ্যোতিনইন্দ্র নাথের পাশে।তাকে নিয়েই আমার বর্তমান… আমার ভবিষ্যৎ।

 

সিঁথিতে লাল টকটকে সিঁদুর… কানে কানপাশা… গলায় জড়োয়া… খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা। আলতা দাসী এসে পায়ে আলতা পড়িয়ে দিয়ে গেছে। আয়নায় নিজেকে ঘুরে ফিরে দেখে খুব দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হোল।।

 

একবার “অলিক বাবু” নাটকে হেমাঙ্গিনীর নাম ভূমিকায় অভিনয় করার সময় আমার স্বামী বলেছিলেন… কাদম্বরী তুমি রোজ আয়নার সামনে দাড়িয়ে তোমার অভিনয়ের পাঠ করবে। তাহলে দেখবে… তোমার জড়তা কেটে যাবে আর অভিনয়ের অভিব্যক্তি গুলোও সঠিক হবে।

 

রবি মাঝে মাঝে আমার পিছনে এসে দাঁড়াতো। আমি ঠাট্টা করে বলতাম… আচ্ছা রবি তুমি ছেলে বন্ধুদের সাথে মেশনা কেন ? এই যে তুমি সারাক্ষন আমার সাথে সাথে থাকো… সে নিয়ে বাড়ীর অন্দর মহলে যে আমায় নিয়ে কটাক্ষ হয়…

রবির ঠোটে বাঁকা হাসি…আপন মনেই বলে যায়…

***কটাক্ষে মরিয়া যাই কটাক্ষে বাচিয়া উঠে…

হাসিতে হৃদয় জুড়ে হাসিতে হৃদয় টুটে***

 

আজ বার বার মনে হচ্ছিলো… এই বুঝি রবি আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে। ঠোটে অনিন্দ্য হাসি জড়িয়ে বলছে…

***অশোক বসনা যেন আপনি সে ঢাকা আছে আপনার রূপের মাঝার !

রেখা রেখা হাসি গুলি আসে পাশে চমকিয়া… রুপেতেই লুকায় আবার***

 

কিন্তু না রবিকে তো আর এখন সে ভাবে দেখাই যায় না। আজ অবশ্য দেখা হবে অনেকদিন পর। আজ রবির নতুনদার বহু পরিশ্রম আর টাকা খরচ করার পর শ্রীরামপুরের কাছে গঙ্গা বক্ষে  *সরোজোনী* নামের জাহাজ জলে ভেসেছে। শহরের নামী দামী ব্যক্তিরা আসবেন। সারারাত  গান… কবিতা… গল্প আড্ডা… আনন্দ উল্লাস আরও কতো কি ?

 

আমার অপেক্ষার টুকরো টুকরো ভাবনার সূতো গুলো জুড়ে জুড়ে লম্বা সময় পার হয়ে গেলো। কিন্তু রবির নতুনদা এখন ও তো এলো না আমাকে নিতে ? যন্ত্রণায় বুকের ভেতরটা তোলপাড় হয়ে গেলো ! রাগে অভিমানে আমার সারা শরীর কাঁপতে লাগলো। নিজেকে আয়নায় আর দেখতে ইচ্ছে করছিলোনা। টেবিলে রাখা ফুলদানীটা ছুড়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দিলাম। কাঁচের টুকরো গুলো ছড়িয়ে গেলো সারা ঘরময়।

 

আলমারি থেকে চন্দন কাঠের গয়নার বাক্সটা বের করে নিয়ে এলাম। বাক্স থেকে গয়না গুলো ছুড়ে ফেলে দিলাম। একটা কাগজে মোড়া চারটা কালো রঙয়ের বড়ি… আর তিনটে চিঠি… এই আমার গুপ্ত ধন। বড়ি গুলো এনেছিলাম বিশুর কাছ থেকে। আর চিঠি গুলো পেয়েছিলাম ধোপাকে কাপড় কাঁচতে দেয়ার সময় আমার স্বামী জ্যোতিনইন্দ্র নাথের জামার পকেটে।

 

চিঠি গুলো নিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে একটার পর একটা পড়লাম…

প্রিয়তমেষু

আমার বালিশে মাথা দিয়া তুমি পরম নিশ্চিতে ঘুমাইয়া আছো। তোমার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকাইয়া মনে হইতেছে… আমি কোন দেবশিশুকে দেখিতেছি। তোমার আয়ত চোখ দুটিতে বুদ্ধির ঝিলিক। চেহারা আর পোষাকে আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ । তোমার কাছ হইতে যে মর্যাদা আমি পাইয়াছি… সৃষ্টি কর্তার পক্ষ হইতে তাহা আমার ইহজন্মের সাধনার এবং বহু পুণ্যের দান।

তুমি আমাকে এমন একটি উপহার দিয়াছ… যাহা প্রত্যেক মেয়ের জীবনের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। আমার শরীরের মধ্যে তোমার একটি ক্ষুদ্র বীজ বাড়িয়া উঠিতেছে। এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় আমি কাহাকেও বলিব না। ও শুধু একান্ত আমারই থাকিবে। তোমাকে মুখে বলিতে ভয় এবং সংকোচ উভয়ই হইতেছিল। তাই চিঠিতে লিখিলাম। কোন মুল্যেই আমি তোমাকে হারাইতে চাই না।

ইতি

তোমার একান্ত

*সরোজিনী*

 

আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা এক নিমেষে নিঃশেষ হয়ে গেলো ! খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। তারপর…তারপর…তারপর… কোন কিছু না ভেবেই… কালো বড়ি গুলো একসাথে খেয়ে নিলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমার সারা শরীর পাখির পালকের মতো হালকা মনে হোল। নগ্ন পায়ে সারা ঘরময় দৌড়ে বেড়ালাম। দুপায়ে কাঁচের টুকরো বিধে রক্তাক্ত হয়ে গেলো ঘরের মেঝে।

 

আমি চলে যাচ্ছি রবি… তোমার থেকে অনেক দূরে…অসীম সীমানার পাড়ে…আরতো হবেনা দেখা… আরতো হবেনা কথা হে বন্ধু আমার… তোমার কবিতা… তোমার গানের মাঝেই নিজেকে খুঁজে পেতাম আমি। তোমার নতুন বৌঠান তোমাকে ছেড়ে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। তুমি ভালো থেকো………

 

পাখীর মতো ডানা মেলে উড়ে যেতে ইচ্ছে হোল ঐ দূর আকাশে…… কিছু আর ভাবতে ইচ্ছে করছে না। মনের কোণে ভেসে এলো রবির গান……

 

**** তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই……

কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই।।

মৃত্যু সে ধরে মৃত্যুর রূপ, দুঃখ হয় হে দুঃখের কূপ,

তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ আপনার পানে চাই ।।

 

হে পূর্ণ, তব চরণের কাছে জাহা-কিছু সব আছে আছে আছে……

নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই, নিশিদিন কাঁদি তাই ।

অন্তরগ্লানি সংসারভার পলক ফেলিতে কোথা একাকার

জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার রাখিবারে যদি পাই****

 

প্রিয়তমেষু

আমার বালিশে মাথা দিয়া তুমি পরম নিশ্চিতে ঘুমাইয়া আছো। তোমার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকাইয়া মনে হইতেছে আমি কোন দেবশিশুকে দেখিতেছি। তোমার আয়ত চোখ দুটিতে বুদ্ধির ঝিলিক। চেহেরা আর পোষাকে আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ । তোমার কাছ হইতে যে মর্যাদা আমি পাইয়াছি, সৃষ্টি কর্তার পক্ষ হইতে তাহা আমার ইহজন্মের সাধনার এবং বহু পুণ্যের দান।

তুমি আমাকে এমন একটি উপহার দিয়াছ, যাহা প্রত্যেক মেয়ের জীবনের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। আমার শরীরের মধ্যে তোমার একটি ক্ষুদ্র বীজ বাড়িয়া উঠিতেছে। এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় আমি কাহাকেও বলিব না। ও শুধু একান্ত আমারই থাকিবে। তোমাকে মুখে বলিতে ভয় এবং সংকোচ উভয়ই হইতেছিল। তাই চিঠিতে লিখিলাম। কোন মুল্যেই আমি তোমাকে হারাইতে চাই না।

ইতি

তোমার একান্ত

*সরোজিনী*

 

 

প্রিয় তমেশু প্রিয়তমেসু

তোমার কাছ থেকে যে আনন্দ আর মর্যাদা পেয়েছি, তাহা আমার বহু স্বপ্নের ফসল। কিন্তু যে কথা মুখে বলিতে পারিনাই, সে কথা জানাইবার জন্যই এই পত্র। তুমি যখন দুপুরে দুষ্টুমির পরে আমার বালিশে পরম আরামে ঘুমাইতেছিলে, তখন তোমার পাশে বসিয়াই লিখিতেছি।আমার গোপন কথা।

কথাটি হইলো আমার শরীরের মধ্যে তোমার একটি ক্ষুদ্র বীজ বাড়িয়া উঠিতেছে। কয়েক দিন বমি বমি লাগিয়াছিল। এই মাসে ঋতু দর্শন হয় নাই। সন্তানের পিতৃ পরিচয় আমি কাহাকেও জানাইবনা। শুধু আমি জানিলাম আর তুমি। সংসার জানিবে ও আমার সন্তান। আমার একার। কোন মুল্যেই আমি তোমাকে হারাইতে  চাই না। আমার শত শত চুম্বন গ্রহণ করিও।

ইতি

তোমার একান্ত

সরোজিনী

০৭.০৮.২০

*কোন কোন কষ্ট মানুষকে তার সৃষ্টিতে সাহায্য করে, হোক সে ক্ষুদ্র বা বৃহৎ*…লীলা দাম মজুমদার…

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নয়ন তোমারে দেখিতে না পাই, রয়েছ নয়নে নয়নে…

তোমার আসিমে মন প্রাণ লয়ে, যতদূরে ধাই…।

শ্রাবণের ধারা বহে পরুক ঝড়ে পড়ুক ঝড়ে…

আমি তোমারি সঙ্গে বেঁধেছি আমারি প্রাণ সুরের বাঁধনে…

তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুব তারা…

যদি জানতেম আমার কিসেরও ব্যথা…

জীবন মরণে সীমানা ছাড়ায়ে, রয়েছ দাড়ায়ে বন্ধু আমার !!!!!!

 

 

 

 

১২৭৫ বঙ্গাব্দের ২৩ আষাঢ় রবিবার

আয়ত চোখ দুতিতে বুদ্ধির ঝলক। চেহেরা আর পোষাকে আভিজত্যের বহিঃপ্রকাশ

মঝদিদি – জ্ঞানদা নন্দিনী- সত্ত্যেন স

কাদম্বরী ছবি

এ বাড়ীর কোন বধুর মৃত দেহ মরগে পাঠানো যাবেনা। কোন সংবাদ পত্রে এই সংবাদ চাঁপা হবে না। কোর্ট বাড়ীতে এসে বসাবে। যত টাকা লাগে লাগুক। আর কেমিক্যাল রিপোর্টের এক্সজানিনে যেন লিখে দেন এই মৃত্যু স্বাভাবিক।ভৃত্যদের সবাইকে যেন একই কোথা বলা হয়।

 

 

 

 

 

বঙ্গ দর্শন= বঙ্কিম চন্দ্র যে কি ভালো কাজ করেছেন। কতো নতুন নতুন গল্প পড়া যাচ্ছে। বিষ বৃক্ষের কুন্দ নন্দিনীকে আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু ওকে কেউ ভালোবাসে না। কতো নিঃসঙ্গ মেয়েটি। কুন্দ সূর্যকে ভালোবাসে।বঙ্কিম চন্দ্র এর সাহস আছে বলা চলে। এই সমাজে বিধবা মেয়ের প্রেম দেখিয়েছেন।কিন্তু আমাদের এই সমাজের যা পেটের অবস্থা সহ্য হলেই ভালো।

প্রাচীন কাব্য সংগ্রহের দ্বিতীয় ভাগটা যেন কোথায় ? বৈষ্ণব কবিতা পড়তে আমার বেশ ভালোই লাগে। একটা ভিন্ন রকমের অনুভূতি কাজ করে।

আমাদের কাছারির বেণী রায় এর মেয়েকে দেখতে যাবো।

 

 

 

 

মেঝদাদা সত্য প্রসাদ

 

ভগ্ন হৃদয়ের সব কবিতা তোমার জন্য লেখা। যে চিঠি গুলো ভারতীতে ছাপা হয়েছে, সবটাই তোমাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা হয়েছে। সব কিছু ভুলে কি করে সামনে তাকাতে হয়, আমাকে শিখিয়ে দেবে? সব কিছু ভুলে থাকা যায় না। মনকে শাসন করতে হয়।

হেথা হতে যাও পুরাতন… হেথায় নতুন খেলা আরম্ভ হইয়াছে !!!

আজ নূতন সাজে নূতন ভাবে সেজে দাঁড়াবো আমার স্বামীর পাশে।তাকে নিয়েই আমার বর্তমান, আমার ভবিষ্যৎ।

সরোজিনীর চিঠি……।

রামকৃষ্ণ ও বিদ্যাসাগর ২ | Ramkrishna bani। sarada ma। by GyanGuy

 

 

 

 

 

 

Shrimati Hey | Tribute to Kadambari Devi | Music Video

 

 

সৌজন্যে

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়- প্রথম আলো

মল্লিকা সেনগুপ্ত-কবির বৌঠান

রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের-রছনাগুচ্ছ

Kadambari Devi

Kadambari 2015 | 720p | Full Movie

 

 

নতুন দাদা।

পত্রিকা চালাবে, থিয়েটার করবে, শিপিং কম্পানি খুলবে।

 

 

 

 

 

দিবসও রজনী আমি যেন তার আশায় আশায় থাকি

 

 

 

 

 

 

 

 

চোখ বন্ধ হয়ে গেছে । শুধুই অনুভব করলাম আর চোখের কোলে এক বিন্দু চিক্ চিক্ করে উঠল । অসামান্য লেখনী

কাদম্বরী তুমি আজও বেচে আছ…..বেচে আছ তোমার ….. স্বপ্নের রবি কে আঁকড়ে ধরে….. প্রেমের পরিত্যাক্ত পথটাতে তুমি আজও হেঁটে চলেছ হাজার বসন্তের চাপা কান্না ঝরিয়ে ফেলে

প্রেমের মৃত্যু যেন এমনই হয় বার বার, এই ফুল খসে পড়বার জন্যেই।

দুই ভাই এর একজন খেলার সঙ্গী। শেষ পর্যন্ত কাদম্বরী জীবন দিল।

কোনো মানুষ আত্মহত্যা করার সময় তারা জীবনের কোন অন্তিম নিঃস্ব পর্যায়ে পৌঁছায় তা যেনো স্পষ্ট করে দিল কাদম্বরী।

কাদম্বরী তুমি বেঁচে আছো এখনো।। হাজার মেয়ের মাঝে।।। এখনো জ্বলছে হাজার দহন….

আমি আপন মনে পিয়ানো বাজাচ্ছিলাম। রবি এসে আমার পিছনে দাঁড়ালো।

*কি কবিতা লিখছনা ?

*না আমার মন লাগছিলনা। কতোগুলো পাখির ডাক শুনলাম, আমার মনে হোল ভোর হয়েছে।দাড়িয়ে দেখি সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই। ছাদে হাটতে যাবে? এক্ষুনি সন্ধ্যা হবে। দিগন্ত সীমা যখন মুছে যাবে তখন হাটতে থাকলে মনে হবে, যেন অনেক দূরে হেঁটে চলেছি।

 

 

 

কবিতা প্রশান্তির ছোঁয়া দেয়,আদর দেয় বিলিয়ে

জানিনা এই অসমাপ্ত ভালোবাসা কেন কষ্ট দিতে আমাদের জীবনে আসে।

একজন নারী কত রকম কত যে কষ্ট সয্য করতে পারে সেটা হয়তো একজন নারী ছাড়া বুঝতে পারবে না আমরা তো শুধু অনুভব করতে পারি সত্তি কাদম্বরী দেবী আজ ও বেঁচে আছে প্রতিটা নারীর মনে প্রেনে।

 

ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্ম এক নয়। ব্রাহ্মরা একেশ্বরবাদী, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর প্রবর্তক, সনাতন হিন্দু ধর্মের অাধুনিক সংস্করণ। তাই,সনাতন হিন্দুরা মেয়ে দিতে চায়তো না।

 

দেবাশিস ঘশঃ

ভুলভাল প্রচার না করে একটু পড়াশুনা করতে অনুরোধ করি।একটি পড়লেই হবে। তপোব্রত ঘোষ- কবিমানসী ও সাম্প্রতিক রবীন্দ্র-কাদম্বরী চর্চা । পরম্পরা প্রকাশন।

কাদম্বরী : একটি অসমাপ্ত প্রেমের নাম / suicide note of Kadambari Devi / recited by SUHANA SABA

কাদম্বরী দেবী KadambariDebir Suicide Note by Ranjan Bandyopadhyay

রবীন্দ্রনাথের সাথে কাদম্বরী দেবী ও মৃণালিনী দেবীর সম্পর্ক কী ছিল ?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিবাহের কিছু মজার অজানা ঘটনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে গোপন প্রেম !

কাদম্বরী দেবীর সৎকার কেন ২দিন পর করা হয়?

RABINDRANATH THAKUR & KADAMBARI’s life Story(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাদম্বরীর জীবনী)😎😎(79)

রবি ঠাকুরের নতুন বৌঠান। কাদম্বরীদেবীর করুন কাহিনী ও আফিম খেয়ে মৃত্যু।

kadmbory Bouthan   শুনেছি

কাদম্বরী দেবী আপনাকে

কাদম্বরীর সুইসাইড নোট…. লেখক-রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, চোখে জল আনা এক চিঠি

১৯ এপ্রিল | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বৌঠান, কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু | একটি চিঠি প্রিয় নাম – ৩

রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনী দেবীর সংসার জীবন ও প্রেম

 

Share: