মহামারীতেও থেমে নেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর: নেপথ্যে মাননীয় উপাচার্য

উত্তরের জনপদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। শুরু থেকেই নানা বাধা বিপত্তি ও প্রতিকূলতার মাঝে পথ পাড়ি দিতে হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টিকে। ২০১৭ সালের ১৪ই জুন চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) এর উপ-উপাচার্য, প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সেশনজট, নিয়োগ-বাণিজ্য, শিক্ষক সংকট, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, দক্ষ জনবল ও প্রশাসনের ঘাটতি কাটিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেন। প্রায় ৩ বছরের নিরলসভাবে কাজ করার পর যখন বিশ্ববিদ্যালয় একটা গতি পায় তখনই অনাকাঙ্খিত করোনার আঘাত। করোনায় যখন প্রায় সব থমকে গিয়েছিল তখনও থেমে যান নি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। এই করোনার সময়েই শিক্ষকবান্ধব সিদ্ধান্ত আসে স্যারের নিকট থেকে, পদোন্নতি পান বেশ কয়েকজন শিক্ষক। করোনার কঠিন সময়ে স্যার অত্যন্ত সফলতার সাথে পদোন্নতির কাজটি সম্পন্ন করেছেন। শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের নকশা উম্মোচনও হয় এই করোনার সময়ে। নকশার কাজটিও করা হয় অনেক আন্তরিকতার সাথে। মূল ফটকের নকশার জন্য আইডিয়া আহ্বান করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের পাঠানো ২৭টি আইডিয়ার মাঝে একটি দৃষ্টিনন্দন আইডিয়া চূড়ান্ত করা হয়। করোনাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারদের আবাসন সুবিধার কথা চিন্তা করে তৈরি করা হয় আনসার ক্যাম্প। ক্যাম্পাস চালু হলেই শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে নতুনত্ব খুজে পাবে। একাডেমিক ভবনগুলোর মধ্যবর্তী সংযোগ সড়কগুলোতে আর.সি.সি. ঢালাই করা হয় যেন বৃষ্টিতে, কাদামাটিতে আর কষ্ট পেতে না হয়। এর মাঝেও নবনিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘শেখ হাসিনা হল’ এবং ‘ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট’ এর কাজ চলমান। এম.ফিল. ও পি.এইচ.ডি. এর ভর্তি কার্যক্রম চলছে। করোনার এই কঠিন সময়েও দুটি বিভাগে তিনটি ল্যাব উদ্বোধন করেন স্যার। প্রতিদিনই ক্যাম্পাস রেডিও বুলেটিন শুনতে পারছে শ্রোতারা যার মাধ্যমে তারা ক্যাম্পাসের খোঁজখবর পাচ্ছেন। বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল যেন দ্রুত প্রকাশিত হয় সে জন্য উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। স্যারের মতো দক্ষ ও জনপ্রিয় মানুষ থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা করি। শুভকামনা ও ভালবাসা স্যারের জন্য।

ফাহিমুল কাদের সিদ্দিকী
প্রভাষক, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্
সহকারী প্রভোস্ট,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
সদস্য, নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Share: