চেয়ারম্যানের নাক ফাটিয়ে আটক চা বিক্রেতা, দোকান পুড়িয়েছে জনতা

চা দোকান পুড়িয়ে দিচ্ছে বিক্ষুব্ধ জনতা

অপরদিকে, চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষি মারার খবর ছড়িয়ে পড়লে চা বিক্রেতার দোকানটি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নেছার উদ্দিন মৌজা শাখাতি এলাকার মৃত ছকমল হোসেনের ছেলে।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ, চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে নেছার উদ্দিনের সঙ্গে তার সহোদর ভাই ইয়াকুব আলীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় ইয়াকুব আলী মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ দেন। ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। বুধবার (২৮ অক্টোবর) সেই টাকা পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তিনি টাকা দেননি। দুপুরে উভয়কে ডেকে সালিশে বসেন চেয়ারম্যান। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে নেছার উদ্দিনসহ তার লোকজন চেয়ারম্যানকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে চেয়ারম্যানের নাক ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। উপস্থিত ইউপি সদস্য ও অন্য লোকজন চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের স্থানীয় সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চা বিক্রেতা নেছার উদ্দিনের দোকান পুড়িয়ে ছাই এবং তার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আমিনুল হক মোহন বাদী হয়ে নেছার উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় নেছার উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে তাকে লালমনিরহাট আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মূল আসামিকে ধরা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share: