জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে শতকরা ৮২ শতাংশের কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না, ছয় শতাংশ ছিল লক্ষণ-উপসর্গযুক্ত আর বাকী ১২ শতাংশ ছিল মৃদ্যু লক্ষণযুক্ত। আবার লক্ষণযুক্ত এই রোগীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গবেষণাতে অংশ নেওয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে একজন রোগী মারা গেছেন।
আর এর মধ্যে শতকরা ২৪ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ বছরের বেশি আর ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে রয়েছে শতকরা ১৮ শতাংশ। আজ সোমবার ( ১২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
একইসঙ্গে দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং এর জিন রূপান্তর নিয়ে করা এই গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ঢাকার বস্তিগুলোতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ শতাংশ মানুষ। অর্থ্যাৎ ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে ইতোমধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অপরদিকে, ঢাকার বস্তিগুলোর ৭৪ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর তাদের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যারা ইতোমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ গবেষণাতে রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডে এই জরিপ চলে। প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি মহল্লা বাছাই করে ১২০টি খানাতে এই জরিপ চালানো হয়। জরিপ চলে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত।গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে শতকরা ৮২ শতাংশের কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না, ছয় শতাংশ ছিল লক্ষণ-উপসর্গযুক্ত আর বাকী ১২ শতাংশ ছিল মৃদ্যু লক্ষণযুক্ত। আবার লক্ষণযুক্ত এই রোগীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গবেষণাতে অংশ নেওয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে একজন রোগী মারা গেছেন বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।