বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত)। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মিজান-উর রশীদ এবং অ্যাডভোকেট এএসএম সায়েম।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে অনিবন্ধিত ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ তৈরির বিষয়টি ৬০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। দেশের বিভিন্ন এলাকার মোট ৭১ জন শিক্ষকের পক্ষে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, নীতিমালায় থাকলেও বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষকগণের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে চাকরি বহাল রেখে কর্মস্থল পরিবর্তনের কোনও সুযোগ ছিলোনা। বরং অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্যে অন্যান্য সকল প্রার্থীদের সঙ্গে নতুন করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা লাগতো। আবার যাদের শুধু ইনডেক্স ছিল কিন্তু নিবন্ধন ছিল না তারা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার সুযোগ পেত না। তাই এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন বেসরকারি শিক্ষকরা
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের (বদলি) সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়ের ফলে প্রায় তিন লক্ষাধিক নিবন্ধন সনদধারী এবং নিবন্ধনবিহীন ইনডেক্সধারী বেসরকারি (এমপিও) শিক্ষক এখন থেকে কর্মস্থল (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) পরিবর্তনের জন্যে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে এনটিআরসি’র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন (পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং সিনিয়রিটিসহ)।