শিক্ষা-বান্ধব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ এক উপাচার্যের নাম প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার

২০০৮ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি বিভাগেই শিক্ষক স্বল্পতা বিরাজমান ছিল। যার কারণে প্রায় প্রতিটি বিভাগেই সেশনজট এবং অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এই সমস্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে এবং শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বিভিন্ন বিভাগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট নিরসনের ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে উপাচার্যের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও তিনি নিজেই কয়েকটি বিভাগের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের তিনি নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার পাশাপাশি সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি তিনি নিজেই যোগাযোগ রেখেছেন। এর ফলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ তাদের বিভাগের যেকোনো সমস্যার সমাধান পেয়েছেন। এ ধরনের নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন। বেরোবি, রংপুর-এর বর্তমান উপাচার্য মহোদয় কেন্দ্রীয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শৃঙ্খলা থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক মানের বাংলা ও ইংরেজি জার্নাল প্রকাশ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট চালু করেছেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি তিনি বন্ধ থাকা গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর চালু করেছেন গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে।

মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার ২০১৭ সালে যোগদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তাঁর যুগপোযোগী বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ সরাসরি উপকৃত হয়। শিক্ষার্থী-বান্ধব এ মানুষটি তার উদ্ভাবনী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দুর্বার গতিতে বিশ্বমানের পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে প্রথমেই নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া। স্যার এর হাত ধরেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ৪৮ জন মেধাবী শিক্ষক, ২০ জন যোগ্য কর্মকর্তা ও ৬১ জন কর্মচারী নিয়োগ হয় যাদের প্রত্যেক জনই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ফলাফল করেছেন। সারা বাংলাদেশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য ছয়মাস, কর্মকর্তাদের জন্য চারমাস এবং কর্মচারীদের দুইমাস ব্যাপী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে যথাক্রমে ফাউন্ডেশন ও ইন্ডাকশন ট্রেইনিং প্রদান করা হয়, যা দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।

মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ স্যার এর সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয় নানামুখী পদক্ষেপের ফলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, রংপুর এখন দেশব্যাপী আদর্শিক এবং অনুকরণীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।

মোঃ ফরহাদ-উজ-জামান
সহকারী পরিচালক (এফ অ্যান্ড এ)
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
সদস্য, নবপ্রজন্ম কর্মকর্তা পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Share: