ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ, মসৃণ এবং ভবিষ্যৎমুখী : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা, সেপ্টম্বর, ২০২০ : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ, মসৃণ এবং ভবিষ্যৎমুখী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক যা পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এখন একে অপরের সহায়ক।’
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার সকালে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন। সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন মন্ত্রী।
এসময় অনলইন প্ল্যাটফরমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে দুদেশ একে অপরের সহায়ক, তারই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। উভয় দেশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে উষ্ণ, মসৃণ এবং ভবিষ্যৎমুখী। ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক থাকলে পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটি হলে দু’দেশের মধ্যকার অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সহজে সমাধান সম্ভব। তার প্রমাণ ছিটমহল বিনিময় সীমান্ত সমস্যাসহ অনেক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন দু’দেশের সম্পর্কের কোন কোন সরকার বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে এখন একে অপরের সহায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় ঋণ কর্মসূচির আওতায় আমরা বাস্তবায়ন করছি বেশ কিছু প্রকল্প।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে ঋণ কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পসমূহের কাজ শুরু হতে বেশি সময় লাগছে। সমীক্ষা সহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করা, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সম্মতি, ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংকের কনকারেন্স সহ আমাদের অংশের কার্যক্রম সবমিলিয়ে প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। এলওসির আওতায় প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নিতে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ প্রকল্পগুলো দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে তা এগিয়ে নিতে হবে উন্নয়নের স্বার্থেই। দাপ্তরিক যোগাযোগ সহ অন্যান্য যোগাযোগ দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে আমাকে জানাবেন আমি কথা বলব।বাসস।

Share: