সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম যথাশিগগিরই শুরু হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আমাদের সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগের মতামত নিয়ে করোনা পরিস্থিতি শেষ না হলে আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমরা দুটা পরিকল্পনা মাথায় রেখেছি। অক্টোবর একটা, আর যদি নভেম্বর খোলা যায় নভেম্বরের জন্য একটা পরিকল্পনা করা আছে। যদি খোলা যায় তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারবো। আর না হলে তো আপনারা বুঝেন…।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘স্কুল খোলা না গেলে তো (বার্ষিক) পরীক্ষা হবে না। প্রধানমন্ত্রী তো বলেছেন স্কুল যদি খোলা না যায় তাহলে তো পরীক্ষা হবে না। আমরাও তাই বলছি। স্কুল খোলা না গেলে অবশ্যই পরীক্ষা হবে না।’ মূল্যায়ন কীভাবে হবে প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সেটা আপনারা বুঝেন। স্কুল না খোলা গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করবো।’
আকরাম-আল-হোসেন আরও বলেন, একাত্তর সালে আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। তখন বই পেতে মার্চ মাস হয়ে যেতো। মার্চে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে স্কুল, কলেজ, আদালত সব বন্ধ করে দিলেন। মার্চ থেকে তো বই নেই। আমরা ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্কুলে গিয়েছি, সেভেনে আমাকে উঠিয়ে দিয়েছে, সমস্যা নেই। স্কুল খোলা না গেলে কোনও মূল্যায়ন হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব আলম আরা বেগম এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্কুল না খুললে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন হবে না
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত, আমাদের বাচ্চাদের নিরাপত্তা যতক্ষণ পর্যন্ত সুরক্ষিত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত স্কুলগুলো খুলবো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘স্কুল খোলা না গেলে তো (বার্ষিক) পরীক্ষা হবে না। স্কুল খোলা না গেলে কোনও মূল্যায়নও হবে না।’