করোনা এখনও ছোবল বসাতে পারেনি যেখানে

দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ থাকায় করোনা ভাইরাস থেকে এখনও নিরাপদ রয়েছে এ দ্বীপের বাসিন্দারা। যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দ্বীপের মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হলেও জেলা প্রশাসক বলছেন, পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সেন্টমার্টিন, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। ১৭ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটিকে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় পর্যটকসহ নৌ রুটের চলাচল। এতে এ পর্যন্ত কোন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। এরমধ্যে অনেকেই নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন এবং ফলাফলও নেগেটিভ এসেছে। এতে খুশি দ্বীপের মানুষ।

তবে দ্বীপের মানুষের সপ্তাহে দুদিন সীমিত পরিসরে টেকনাফ আসতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে যান। এতে ভোগান্তিততে পড়তে হয় বলে জানান দ্বীপের বাসিন্দারা।

একজন বলেন, আমাদের দ্বীপের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত এমবিবিএস কোনো চিকিৎসক নেই।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে দ্বীপের বাসিন্দারা দুর্ভোগে রয়েছেন। এছাড়া ১০ শয্যার হাসপাতাল থাকলেও নেই কোন চিকিৎসক।

টেকনাফ সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, অনুরোধ করছি জনবল, যন্ত্রপাতি দিয়ে হাসপাতালটি চালু করতে।

তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানালেন, বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে আসা যাওয়া বন্ধ রাখার সুফল এটি। পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানের কথাও জানালেন তিনি।

দশ হাজার মানুষের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশ।

Share: